ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ পরিবেশ সংরক্ষণ আমাদের একান্ত কর্তব্য : তারেক রহমান সুন্দরবনে বিষ দিয়ে ধরা মাছ সহ নৌকা আটক গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার দেশের সাংবাদিকতার অন্যতম সংকট‌: প্রেস সচিব বসুন্ধরা শুভ সংঘ জামালপুর জেলার নেতৃত্বে জাবিপ্রবির জসিম ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হোক মুসলমানদের জীবনে- মাসুদ উদ্দিন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অন্তর্ভুক্ত হলেন চাটখিলের কৃতি সন্তান এডভোকেট শামিম পাটোয়ারী ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হোক মুসলমানদের জীবনে- বাহার উদ্দিন শার্শায় দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত,আহত,,১ বন্ধ ক্যাম্পাসে অবহেলিত প্রাণীদের পাশে ববি'র শিক্ষার্থীরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঈদ সামগ্রী বিতরণ আদমদীঘির কাঞ্চনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটিকে সংবর্ধনা গোয়ালন্দে অবৈধ মাটি কাটায় যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার আসামিকে ছেরে দেওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন দৈনিক প্রত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ শৈলকুপা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতবিনিময় আদমদীঘিতে চোলাই মদ বিক্রেতা দুই জনের জেল-জরিমানা বগুড়া শাজাহানপুরে রাণীরহাট গবাদিপশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা ! লালপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন, নালিতাবাড়ীতে কারিতাসের আয়োজনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন শেরপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত সাংবাদিক নোমান গ্রেফতার গোয়ালন্দে ভেজাল দই ও ললিপপ তৈরির দায়ে এক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করবেন যেভাবে

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 18-03-2023 03:59:02 am

আমার ১২ বছরের ছেলের কী রোজা রাখতে হবে, তাকে কীভাবে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করব? 


• কামরুন নাহার, ঢাকা। 


ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।

১. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়।

২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয়।

৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু দাউদ)

তা সত্ত্বেও শিশুদের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত করা উচিত, যেন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং রোজা ফরজ হওয়ার পর একটি রোজাও ছুটে না যায়। সাহাবি ও তাবেয়িগণ এমনটাই করতেন।


সহিহ বুখারিতে এসেছে, হজরত ওমর (রা.) রমজান মাসে দিনের বেলা এক মাতাল ব্যক্তিকে দেখে বললেন, ‘আফসোস তোমার জন্য, তুমি মাতাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ, অথচ এখন আমাদের শিশুরাও রোজা পালন করছে।’ এ কথা বলে তিনি তাকে প্রহার করলেন।


রুবাইয়ি বিনতে মুআওয়িজ (রা.) বলেন, আশুরার দিন সকালে রাসুল (সা.) আনসারি সাহাবিদের গ্রামে সংবাদ পাঠালেন, যারা ইতিমধ্যে পানাহার করে ফেলেছে, তারা দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে, আর যারা এখনো পানাহার করেনি, তারা রোজা রাখবে। রুবাইয়ি (রা.) বলেন, এর পর থেকে আশুরার দিন আমরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুরাও রোজা রাখত। শিশুদের জন্য আমরা রং মাখা পশম দিয়ে খেলনা তৈরি করে রাখতাম। কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তার হাতে খেলনা তুলে দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় পর্যন্ত তাদের ভুলিয়ে রাখতাম। (বুখারি)


হিশাম ইবনে উরওয়া বর্ণনা করেন, তাঁর বাবা উরওয়া (রহ.) নিজ সন্তানসন্ততিদের মোটামুটি রোজা রাখার মতো সামর্থ্য হলেই রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। (কিতাবুল ইয়াল)


ঠিক কত বছর থেকে শিশুদের রোজা রাখায় অভ্যস্ত করতে হবে, এ নিয়ে আলেমগণের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ সাত বছর, কেউ দশ বছরের কথা বলেছেন। তবে ইবনে সিরিন, জুহরি, আতা, হাসান, কাতাদাহ (রহ.)-সহ অনেক ফকিহ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক গঠন ও শক্তিমত্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মোটকথা, শিশুর যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা এবং রোজা রাখার শক্তি-সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন থেকে তাকে রোজায় অভ্যস্ত করে তোলা বাঞ্ছনীয়। সন্তানের কষ্ট হবে, ওজন কমে যাবে, পড়াশোনার ক্ষতি হবে ইত্যাদি


সাধারণ অজুহাতে রোজা রাখতে সক্ষম শিশুদের রোজা রাখতে বাধা দেওয়া বা নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়। (আল মুগনি, আল মাজমু, আল-ফাতাওয়া) তবে শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। এর জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। 


  • •শিশুদের মনে রোজার ফজিলত ও জান্নাতে রোজাদারের ঈর্ষণীয় মর্যাদা লাভের কথা গেঁথে দেওয়া।
  • •রোজা না রাখলেও বড়দের সঙ্গে সাহ্‌রি ও ইফতারের সময় গুরুত্বসহকারে তাদের শরিক রাখা।
  • •পূর্ণাঙ্গ রোজা না রাখলেও দিনের নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার প্রতি উৎসাহিত করা এবং ধীরে ধীরে এর পরিমাণ বাড়ানো।
  • •পূর্ণাঙ্গ রোজা রাখলে পুরস্কার দেওয়া এবং পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সামনে তার দৃঢ়তা ও সাহসিকতার প্রশংসা করা।
  • •অক্লান্তিকর খেলাধুলায় মাতিয়ে রাখা অথবা শিক্ষণীয় কার্টুন ইত্যাদি দেখিয়ে ভুলিয়ে রাখা, যেমনটি সাহাবিগণ করতেন।   


¶ উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদশিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

আরও খবর