যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ শ্রীমঙ্গলে স্টাডি হেল্প কোচিং সেন্টারের এসএসসি পরীক্ষাদের বিদায় সংবর্ধনা ডোমারে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ বাঘায় জামায়াতের উদ্যোগে গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত আশাশুনি প্রেসক্লাবে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে মতবিনিময়ে সভা ও সংবাদ সম্মেলন নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর নদীতে ভেসে উঠে সাজিমের লাশ ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে পাটকেলঘাটায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ নাগরপুরে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত দিনাজপুরে স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি অব্যাহত গণহত্যায় বাংলাদেশের নিন্দা আঞ্চলিক ছয় দেশকে সতর্কতা জারি করলো ইরান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে মিছিল-স্লোাগানে উত্তাল মৌলভীবাজার প্ল্যাকার্ডে শো ইসরায়েল দ‍্য রেড কার্ড কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্হানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ ইউসেপ পরিচালিত রংপুরে দুই স্কুলের ৭০জন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় “গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা”: রাজশাহী কলেজে ধর্মঘট ও মানববন্ধন পাল্টা শুল্ক স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি শার্শার বেলতলায় রাতের আঁধারে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ রাজবাড়ীতে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষব মিছিল। উলিপুরে শিশুর প্রতীকী লাশ বহন করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

কলেজের হিসাবরক্ষকের অ্যাকাউন্টে ২৪ কোটি টাকা, দুদকের মামলা

ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআরের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়া। এতে করে আকরাম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।সোমবার (২০ নভেম্বর) সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক উপপরিচালক শারিকা ইসলাম।দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ড. মাহবুবুর রহমান কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আকরাম মিয়ার নামে বেসিক ব্যাংকের মাতুয়াইল শাখায় ২০২২ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত পাঁচটি এফডিআর হিসাব খোলা হয়। হিসাবগুলো হলো- ৬১১৮-০১-০০১০৬৩৭, ৬১১৮-০১-০০১০৬৪২, ৬১১৮-০১-০০১০৬৫৮, ৬১১৮-০১-০০১০৬৬৩ ও ৬১১৮-০১ ০০১০৬৭৯।বর্তমানে হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৪ টাকা স্থিতি রয়েছে। কলেজের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নামে ব্যাংকে ওই টাকার এফডিআর হিসাব থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে অর্জিত। এমনকি ওই টাকা আকরাম মিয়ার অন্যান্য হিসাব থেকেই স্থানান্তরিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, আকরাম মিয়া ২০১০ সালের ১ জুন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হিসাবরক্ষক পদে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে যোগদান করেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি কলেজে যোগদানের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে বেতন পান ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। যা বেসিক ব্যাংকের এফডিআর হিসাবে জমা হওয়া ওই টাকার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।এমনকি অ্যাকাউন্টে টাকাগুলো রাখার বিষয়ে তিনি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের গভর্নিং বডির কোনো অনুমোদন বা রেকর্ডপত্র প্রদান করতে পারেনি। তাছাড়া, কলেজের আয়-ব্যয় খাতওয়ারি হিসাবভুক্ত করে কলেজের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখার বিধান রয়েছে, তা কোনো কর্মচারীর ব্যক্তিগত হিসেবে রাখার সুযোগ নেই। ২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে নিকটবর্তী কোনো তফসিলি ব্যাংকে হিসাব থাকবে যা গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমত, সদস্য-সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। আকরাম মিয়া এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।  যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২(১) ধারা এবং অবৈধ উৎস গোপন করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যম মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। যদিও মামলায় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাউকে আসামি করা হয়নি।এ বিষয়ে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ‘কলেজ করণিকের হিসাবে ২৪ কোটি টাকা!’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সময় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়া টাকার কথা স্বীকার করলেও তিনি ওই টাকার মালিক নন বলে

জানিয়েছিলেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে ওই টাকা তার হিসাবে রাখা হয়েছে— এমন দাবি করেন তিনি।আকরাম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টি জানা নেই। কলেজ ড্রেসের কাপড় বিক্রিসহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আয়ের টাকা আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমান স্যার ওই টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবেন, তাই আমার অ্যাকাউন্টে রেখেছেন।’একটি প্রতিষ্ঠানের টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে কেন রাখা হলো— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা একেকজন একেক মনা। তাদের নামে টাকাটা যদি রাখা হতো তাহলে হয়ত ওই টাকার অপব্যবহার বা তছরুপ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন হয়ত স্যারের পূরণ হতো না। সে কারণে স্যার আমার অ্যাকাউন্টে টাকাটা রেখেছেন।’

আরও খবর




ফাতেমা তুজ জোহরা'র বই "আঁধারে আকন্দ"

৩২ দিন ৭ ঘন্টা ১ মিনিট আগে