জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবকের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে 'অবমূল্যায়িত' হয়েছেন মর্মে অভিযোগ তোলেছেন ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখ। তাঁর অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ১৩ জনের পরে পুষ্পস্তবক করতে তাঁকে সুযোগ দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। তবে এনিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ মুখ না খোললেও
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা কম্পাউন্ডার সংলগ্ন স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করাকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক করাকালে অবমূল্যায়িত হওয়ার অভিযোগ তোলেন পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখ। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি হোসনে আরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজিনা আক্তার চায়নাসহ অনেকেই।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের সেখ অভিযোগ করে বলেন, 'আমি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক করতে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। পুষ্পস্তবক করতে আমাকে ডাকা হয়েছে ১৪ নম্বর ক্রমিকে। এতে আমি চরমভাবে অবমূল্যায়িত হয়েছি। ১৩টি প্রতিষ্ঠানের পর পুষ্পস্তবক করতে আমার নাম ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাকে অপমান করেছে।'
পৌর মেয়র ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের সেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে বলেন, 'জাতীয় শোক দিবস বাস্তবায়ন উপজেলা কমিটির সদস্য ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবকারীদের নাম ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসময় তাঁর কাছ থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম নিজেই পুষ্পস্তবকারীদের নাম ঘোষণা করতে থাকেন। এসময় তিনি ১৪ নম্বর ক্রমিকে পুষ্পস্তবক করতে আমাকে ডাকেন। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়র হওয়ার পরও ১৩ জনের পর পুষ্পস্তবক করতে আমাকে ডাকায় আমি চরমভাবে অবমূল্যায়িত হয়েছি। এনিয়ে আমি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসে অভিযোগ করে বক্তব্য দিয়েছে।'
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, 'আমার কাছে থেকে কেউ মাইক কেড়ে নেননি। আমি স্বেচ্ছায় মাইক দিয়েছি। তবে পৌর মেয়রের নাম আগে ভাগেই ডাকা উচিত ছিলো।'
নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক করতে ১৪ নম্বর ক্রমিকে পৌর মেয়রের নাম ঘোষণা করাটা মোটেও ঠিক হয়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার কল দিলেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তাঁর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
জাতীয় শোক দিবস বাস্তবায়ন উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ও ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক করাকালে পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে কি না, সেটা আমার জানা নেই।'
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবককারীদের নামের তালিকা কেবা কারা করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'এটা বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে পুষ্পস্তবককারীদের নামের তালিকা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগেই করা হয়েছে। এতে পৌর মেয়রের নাম ৩-৪ নম্বর ক্রমিকে থাকার কথা।'
২০ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৪ দিন ১৯ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৫ দিন ৪ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৫ দিন ২০ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৮ দিন ১৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৮ দিন ২২ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৯ দিন ১৪ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে