জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা সাবেক মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ আহ্বায়ক,শাহনেওয়াজ শাহান শাহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
২৫ আগস্ট দিবাগত রাতে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ঠোঁটা পাড়ায় তার বাসায় মারা যান তিনি। ২৬ শে আগস্ট সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে।স্বজনদের দাবি প্রেক্ষিতে মরোদেহের ময়নাতদন্ত করিয়া পরিবারে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা গেছে, সাবেক মেয়র শাহনেওয়াজ ২৫ শে আগস্ট রাতে দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের গ্রামে তার নিজ বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী শীলাকে নিয়ে রাতে খেয়ে শুয়ে পড়েন। ২৬ শে আগস্ট সকালে তাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানালে পুলিশ তার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
এদিকে ২৬ শে আগস্ট রাতে পৌর শহরে আজিমনগর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি( তদন্ত ) হাবিব সাত্তি এ প্রতিবেদককে জানান, শাহ নেওয়াজ শাহান শাহের মৃত্যু নিয়ে প্রথম স্ত্রী কাকলি আক্তার ও অন্যান্য স্বজনদের সন্দেহে দেখা দেওয়ায় তাদের সম্মনিততেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহনেওয়াজ মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সেলিনা আক্তার শিলা স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে প্রথম স্ত্রী কাকলি আক্তার ও স্বজনদের একাংশের সন্দেহ, তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন। এ ঘটনা মৌলিক অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।
শাহ নেওয়াজের দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনা আক্তার শিলা জানান, শুক্রবার রাত তিনটা পর্যন্ত তারা জেগে ছিলেন। ওই সময় শাহনেওয়াজ তার বুকের জ্বালাপোড়া হচ্ছে বলে জানান। পরে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর শনিবার সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠে তিনি শাহনেওয়াজকে ডাকেন। সাড়া না পেয়ে শরীরের হাত দিয়ে দেখেন ঠান্ডা হয়ে গেছে। ওই সময় তিনি চিৎকার করলে অন্যরা গিয়ে শাহানশাকে মৃত অবস্থায় পান। তবে শাহনেওয়াজের বড় ভাই রঞ্জু জানান, সুস্থ শরীর নিয়ে তার ভাই ঘুমাতে যান। সকালে তার লাশ পাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। তাহাকে কেউ কৌশলে হত্যা করেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশকে বলা হয়। শাহনেওয়াজের প্রথম স্ত্রী কাকলি আক্তার ও একই সন্দেহের কথা জানিয়ে বলেন, তাহাকে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সন্দেহভাজনের নাম জানানো হবে। শাহ নেওয়াজের মামা গোলাম মোস্তফা আবু জানান, সাবেক এ পৌর মেয়র এর প্রথম স্ত্রী থাকেন বাবার বাড়িতে। তিনি থাকতেন দ্বিতীয় স্ত্রী সঙ্গে। পারিবারিক কোন দ্বন্দ্ব ছিল কিনা তা জানেন না। তবে মৃত্যুর কারণ বিষয়টি তাদের সন্দেহ রয়েছে। পরে পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে দাফন সম্পন্ন করা হয় ।
১৯ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৪ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৫ দিন ৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৫ দিন ২০ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৮ দিন ১৫ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৮ দিন ২২ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৯ দিন ১৪ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে