জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ বলেছেন, 'উন্নয়নের জন্য জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই। জাতীয় পার্টি মানেই উন্নয়ন। উন্নয়ন কাকে বলে, জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশবাসী দেখেছেন। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নাম ভাঙিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে।সেকারণেই আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই।'
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামালপুরের ইসলামপুর পৌর শহরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগাম গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে জাপা নেতা মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, 'উন্নয়নের নামে আপনারা মহাদুর্নীতি কায়েম করে যাচ্ছে। এটা আর মানা যায় না। আপনাদের লুটপাটের ফিরিস্তি দেশবাসী মনে রাখবে। উন্নয়নের নামে সাগরচুরি বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনের নামে তামাশা করতে দেওয়া যায় না। টেকসই উন্নয়নের জন্য জাতীয় পার্টির হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।লুটপাটের স্বর্গরাজ্য থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাদের মানুষ বিশ্বাস করতে চান না। '
আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামপুর আসন থেকে এমপি প্রার্থী হিসেবে নিজে অংশ নিবেন উল্লেখ করে মোস্তফা আল মাহমুদ আরও বলেন, 'গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে এ আসনটি ছেড়ে দিয়েছিলাম। এবার আর ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি বানানোর জন্য অপেক্ষা করছে।'
জাপা নেতা মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ভোট দেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন। অতীতে যে ধরনের ভোট হয়েছে, তাতে সন্দেহ রয়েছে। ভোটাধিকার না থাকলে, জনগণের মনোনীত প্রার্থী বিজয় হতে পারে না। জনগণের প্রার্থী বিজয় না হলে, অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূলবৈশিষ্ট হচ্ছে, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। জণগণ ভোট দিয়ে যাঁদের নির্বাচিত করবেন, তাঁরাই সরকার গঠন কবে, তাঁরাই ক্ষমতায় থাকবে এবং তাঁরাই দেশ পরিচালনা করবে। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। আজ আমরা সেই গণতন্ত্র থেকে অনেক দূর সরে গিয়েছি। ইসলামপুরবাসী লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে শক্তিশালী অবস্থা সৃষ্টি করেছে। আগামীতে জনগণ যদি সুযোগ পায়, তবে লাঙ্গল প্রতীকেই ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয় হবে, এতে কোনো ধরণের সন্দেহ নেই।'
গণসংযোগকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বিপু, সহসভাপতি ফেরদৌসুর রহমান সরকার, হারুনুর রশিদ হারুন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল সরকার।
উল্লেখ্য, ইসলামপুর উপজেলা এবং জামালপুর জেলা জাতীয় পাটিরও সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহারে করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরিদুল হক খান দুলালকে সমর্থন দেন।
২০ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৪ দিন ১৯ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৫ দিন ৪ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৫ দিন ২০ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৮ দিন ১৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৮ দিন ২২ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৯ দিন ১৪ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে