জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় পঙ্গু স্বামী-সন্তান নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রিক্তা বেগম। মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি তার বসতভিটা সহ ঘরবাড়ী বেদখল করে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন জানিয়ে তিনি থানায় মামলা করেছেন।
তবে আইনি কোন সহায়তা না পেয়ে সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়ে তিনি এইসব অভিযোগসহ তার কষ্টের বর্ণনা দেন। তিনি পাশ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার সিদুলী ইউনিয়নের চর-লোটাবর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ করে তিনি বলেন,, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বীর-লোটাবর গ্রামের মৃত অদ্দিন মিয়ার ছেলে শহীদ মিয়া। ওয়ারিশসূত্রে তিনি ৮শতাংশ জমির মালিক। সেই জমিতেই শহীদ মিয়া তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সেই জমিতে মোহাম্মদ আলীর নজর পড়ে। এদিকে শহীদও অভাবের তাড়নায় পেটের দায়ে আড়াই শতাংশ জমি ৫ লক্ষ টাকা দাম ধর ঠিক করে মোহাম্মদ আলীর নিকট বায়না করে। মোহাম্মদ আলী ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বায়না পত্র দলিল করে। বাকী টাকা দিবে বলে কৌশলে রেজিষ্টারী করে নেন। কিন্তু মোহাম্মদ আলী ২ লক্ষ টাকা দিয়েই জমি দখল নিতে চেষ্টা করে। এমনকি এক পর্যায়ে গত এপ্রিলের ১৫ তারিখ শনিবার সকালে শহিদ মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা করে শহিদের এক পা রামদা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। পরে এলাকাবাসী শহিদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর ডাক্তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। শহিদ বর্তমানে ভাঙা পা নিয়ে কোন কাজ কর্ম করতে না পারায় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন।
ভুক্তভোগী শহিদের স্ত্রী রিক্তা বেগম বলেন, এলাকার লোকদের কোন সহায়তা না পাওয়ায় বেশ কয়েকমাস আগে মাদারগঞ্জ থানায় মোহাম্মদ আলীকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই মাসুদ পারভেজ মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করে এবং আমরা কোন সুফল পাচ্ছি না। পুলিশ বলে শহিদ মিয়ার এটা সামান্য আঘাত কি রিপোর্ট দিবো?
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মাসুদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি বাদীর স্বামী শহিদ মিয়ার ব্যাপারে হাসপাতালে ভর্তির কোন ডকুমেন্ট না পাওয়ায় তাদের মামলার চার্জসিট প্রেরণ করতে পারছি না। বাদী আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করায় আমি এখনো মামলার চার্জশিট দেইনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন বাদীর অভিযোগ সত্য না। বাদীর স্বামী শহিদ মিয়া টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্টি বায়না করে। তবে জমির টাকা সব নিছে কিনা আমি স্পষ্ট না।
এ বিষয়ে সিদুলী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, বাদী রিক্তা বেগম এবং বিবাদী মোহাম্মদ আলীর মাঝে জমি জমার বিষয়ে আমি বেশী কিছু জানি না। তাদের বিষয়ে তেমন কিছু জানা নেই। তবে এতটুকু জানি উভয় পক্ষের মাঝে জমিজমা নিয়ে একটা বিরোধ চলছে।
৬ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৪ দিন ৫ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৪ দিন ১৫ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৫ দিন ৩ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৮ দিন ২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৮ দিন ৯ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৯ দিন ১ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে