যশোরের অভয়নগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নওয়াপাড়া বাজারে মাছ ধরার সরঞ্জাম বেচাকেনার রিতিমত ধুম পড়ে গেছে। শনিবার(৭ অক্টোবর) খোজ নিয়ে জান যায় ঋতুচক্রে বর্ষাকালে বৃষ্টি শুরু না হওয়ায় গতকয়দিনের টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর পাশাপাশি খাল-বিল, ডোবা নালাতে এখন পানি জমতে শুধু করেছে ।
নতুন এই পানিতে দেখা মিলছে নানা প্রজাতির মাছ। পানি বৃদ্ধির এই সময় তাই মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। শনিবার হাটের দিনে নওয়াপাড়া বাজারে দেখা যায়, আরিন্দা,ঘুনি, চারো,টুবো, পাতা জাল এ সকল মাছ ধরার দেশি বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রয় হচ্ছে। ক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খালবিলসহ বাড়ির আশে পাশের ছোট-বড় জলাশয় নতুন পানিতে ভরে গেছে। এসময় নদীসহ বিভিন্ন পুকুরের মাছ ছুটে প্রবেশ করছে খালবিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে। সেই সাথে মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি এসব ফাঁদ দিয়ে মাছ ধরার ধুম পড়েছে।
এসময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের এ সকল সরঞ্জাম কিনতে দেখা যায়। এমনকি অনেক নারীকেও কিনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আজ বাজারে চাহিদা বাড়ায় চারো বিক্রয় হচ্ছে আকার ভেদে ২০০থেকে ২৫০ টাকা, আরিন্দা আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা, পাতা জাল আকার ভেদে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
হিদিয়া থেকে আসো একমাত্র পাতা জাল বিক্রেতা জানান গতরাতে সারারাত ধরে কারেন্টের আলো জ্বালিয়ে এই জাল প্রস্তুত করেছি,হাটের দিনে বিক্রয়ের জন্য,আজ বাজারে এনেছি ৩০- ৪০ গাছ। গরিব মানুষ এভাবেই কষ্ট করে জীবিকা অর্জন করি।
পায়রা গ্রাম থেকে আসা মামুন নামে শখের বশে একটি জাল কিনে নিয়ে যান ১৭০ টাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই মাছ ধরার সরঞ্জাম কিনতে আসে, কোদলা, হরিশপুর, কামকুল পাথলিয়া, দিঘীরপাড়, চলশিয়া,বাগদা,পায়রাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এসব সরঞ্জাম বিক্রি করে কারিগররা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি যারা ক্রয় করে যাচ্ছেন তারাও মাছ ধরে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারবেন।
৬ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৬ দিন ১৩ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৮ দিন ৬ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৮ দিন ৬ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৯ দিন ৫ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১১ দিন ৪ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১২ দিন ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে