কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে টানা তাপপ্রবাহে যারপরনাই নাকাল হয়ে পড়েছে প্রাণীকুল। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে।
মানুষ ছাড়াও গৃহপালিত ও বন্য পশু পাখিরাও হাসফাঁস গরমে অস্থির।দুদিনের গরমেই নাজেহাল জনজীবন।
বাইরে আগুনে পোড়া গরমে জীবন দুর্বিষহ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে শ্রমজীবী মানুষরা।যেখানে সেখানে ছায়ায় মানুষ বিশ্রাম নিচ্ছে, স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত বা ডাব খাচ্ছে।
সব মিলিয়ে গরমে প্রভাব ফেলছে জীবনযাত্রায় এই তাপপ্রবাহ।যাদের দিন আয়ে দিন চালাতে হয় তারা কাজ না করতে পেরে বেগ পেতে হচ্ছে বেশ। শ্রমজীবিরা বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাজে নামতে পারছে না, কাজ পেলেও আগের মতো করতে পারে না বলে মজুরিও কম পাচ্ছে।
সাহেবের চর এলাকার কৃষি শ্রমিক রুকন বলেন, আমাদের মতো গরিবদের আর গরম, মরলেই কি? বাঁচলেইবা কি? জীবিকার তাগিদে মাঠে মাঠে কাজ করতেই হয়।উপজেলার রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের মন্তব্য প্রায় একই।
শিশু ও বৃদ্ধদের কাছে গরম এখন অসহনীয় অবস্থায়। আবার ঘরের ভেতরেও শান্তি নেই, গরমের কারণে সবাই ঘামছে, পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে অনেকেই অসুস্থ বোধ করছেন।
জানা যায়,গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। বেড়ে যায় তাপমাত্রা। এ পরিস্থিতিতে হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে, বিশেষ করে যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ, যাদের হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের। এছাড়া ঊষ্ণ আবহাওয়ার কারণে সর্দিজ্বর এবং ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতালে এ ধরনের রোগীর চাপ বেড়েছে।এই সময়ে সকলকে অতিরিক্ত সতর্কতা পালন করা জরুরি বলে মনে করছেন ডাক্তাররা।
২ দিন ১২ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৩ দিন ১৫ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৪ দিন ১৯ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৫ দিন ১২ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১০ দিন ১০ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
১৪ দিন ৮ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৯ দিন ৫ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
২৮ দিন ১১ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে