পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক নৌকা সাঁটিয়ে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- সুবিদখালী বাজার এলাকার মৃত জোনাব আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এবং তার আপন চাচাতো ভাই আতিক ফকির ও শফিকুল ইসলাম শফিক।
উপজেলার সুবিদখালী বাজার ব্রিজের উত্তর পাড়ের ঢালের পশ্চিম পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়কের সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে তিনটি ঘর উত্তোলন করেছেন অভিযুক্তরা।
এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান মনির দীর্ঘ বছর ধরে প্রবাসে ছিলেন। তিনি দুবাইতে প্রবাসী থাকাকালীন সময়ে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ কালো টাকার মালিক হয়েছেন বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী। সেই কালো টাকা নিয়ে এর আগে বিভিন্ন মিডিয়ায় একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইনে বলা আছে, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু এসব নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে সরকারি জমি দখলে নিয়ে ঘর উত্তোলন করেন তারা। এভাবে অবৈধভাবে সরকারি জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুললে দিনদিন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সম্পদ বেদখল হয়ে যাবে বলে জানান স্থানীয়রা। সেইসাথে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে স্থাপনা গড়ে তোলার কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা করেছেন পথচারীরা।
অবৈধভাবে জমি দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অভিযুক্তরা বলেন, এটা আমাদের জমি, আমাদের নিকট কাগজপত্র আছে। এর মধ্যে সামান্য কিছু সরকারি জমি থাকতে পারে কিন্তু সরকারের প্রয়োজন হলে তা আমরা ছেড়ে দিব।
আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বললে তাঁরা বলেন, তারা কেন ওখানে নৌকা টানিয়েছে তা আমরা জানিনা। দলের তাদের কোন সম্পৃক্ততাও নাই। তবে তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের দুর্নাম হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে খুব দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান বলেন, বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করবো।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ, এম, আতিক উল্লাহ জানান, সরেজমিনে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। আমাদের জমি দখল করা হলে তা উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬ দিন ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৭ দিন ৭ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৫২ দিন ৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৬৬ দিন ২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৭৪ দিন ১৩ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৭৬ দিন ৯ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে