মিরসরাই সেবা আধুনিক হাসপাতালে ডেন্টাল বিভাগের যাত্রা শুরু বারইয়ারহাট বিএম হাসপাতালের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেল সহস্রাধিক রোগী বর্বর ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল। শ্রীমঙ্গল পৌর তাফসীর পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত আক্কেলপুর শিক্ষার্থী পরিবারের উদ্যোগে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলী হোসেন জামায়াতে যোগ দিলেন কুলিয়ারচরে মসজিদের দানবাক্স ভেঙ্গে টাকা চুরি নরসিংদী পলাশ জিনারদীতে নরসিংদী কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি দাবীতে মানববন্ধন নরসিংদী পলাশ জিনারদীতে নরসিংদী কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি দাবীতে মানববন্ধন মার্চ ফর গাজা: কোন পথে যাবেন, জেনে নিন নির্দেশনা জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘট আদমদীঘিতে বিএনপির ঈদ পুর্নমিলনী উপলক্ষে কর্মী সভা আদমদীঘিতে ১২০পিস এ্যাম্পুলসহ একজন গ্রেপ্তার আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গায় বেড়ী রাস্তা ভাঙ্গন স্থানে রক্ষা কাজ শুরু কটিয়াদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে তরুণ-তরুণীদের ধর্মঘট মোংলার পার্শ্ববর্তী জিউধারায় ৩ দিনব্যাপী সাধুর মেলা বারুণী স্নানে লাখো মানুষের ঢল ভোলায় সদর হাসপাতালের ডাক্তারকে গণধোলাই লাখাইয়ে বিক্রি হচ্ছে ক্ষতিকর রং ও ক্যামিকেল যুক্ত আইসক্রিম, স্বাস্থ্য ঝুকিতে কোমলমতি শিশুরা। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে জলবায়ু ধর্মঘট: তহবিলের দাবি

রাজবাড়ীর এম পি নামে-বেনামে অর্থ, স্ত্রীর নামে ঢাকায় একাধিক ফ্লাট ও ভবন



রেবেকা সুলতানা। পেশায় গৃহীনি। তবে ঢাকা উত্তরা, গুলশান, বনানীতে গড়ে তুলেছেন একাধিক ফ্লাট ও ভবন। রয়েছে নামে-বেনামে কোটি কোটি নগদ টাকা ও সম্পদ। কাজী কেরামত আলী এমপি হওয়ার পর স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ও একমাত্র কন্যা কানিজ ফাতেমা চৈতি’র নামে শতশত কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। দখল, টিআর, কাবিখা, টেন্ডার বাণিজ্যে ও মসজিদ-মন্দিরে কাজের কমিশন নিতেও বাদ যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এমপি কাজী কেরামত আলী (টিআইএন নং-৪৯৯৪৬৪৯২৭৩৭৩) ২০১৯-২০২০ইং অর্থ বছরে আয়ের ঘরে দেখা যায়, বড় বোন মোসাফা খানম ও সেলিনা খানম এর নিকট থেকে ৫কোটি টাকা দান হিসেবে নিয়েছেন। ৫কোটি নগদ টাকা বোনদের নিকট থেকে দান পাওয়ার বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। নিজের ব্যক্তিগত অবৈধ্য আয়, বৈধ্য করতে বোনদের না জানিয়ে তাদের নাম ব্যবহার করেছেন তিনি।  
স্ত্রী রেবেকা সুলতানার নামে ঢাকা বাড়ীধারায় কনকর্ড এভারগ্রীণ এপার্টমেন্টে ২৭৯০ বর্গফুটের ১টি ফ্লাট। বাংলামটর কাজী নজরুল ইসলাম রোডে ওয়ালসো টাওয়ারে ১৬৫০ বর্গফুটের একটি ফ্লাট। ঢাকা উত্তরা মডেল টাউন ১৩০.৯৮ বর্গমিটার আয়তনের ৭তলা ভবন। গুলশান-১ রয়েছে স্ত্রী-কন্যার নামে ফ্লাট।
কাজী কেরামত আলীর ২০০৮ সালের নির্বাচনি হলফনামায় দেখা যায়, মায়ের কাছ থেকে ধার নিয়েছেন ৫০ হাজার, ভাইয়ের কাছ থেকে ৬০হাজার টাকা। আর দান হিসেবে নিয়েছেন ভাইয়ের কাছ থেকে ১ লাখ, বোনের কাছ থেকে ৫০হাজার, স্ত্রীর ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আতœীয়-স্বজন ছাড়া অন্যান্য ব্যক্তির কাছ থেকে দান হিসেবে নিয়েছেন এ্যাড. গনেশ নারায়ন চৌধুরী ১০হাজার, মহাম্মদ আলী চৌধুরী ৩০হাজার, হেদায়েত আলীর ৬০হাজার, আজগর আলী ১০হাজার, নুরুজ্জামান মিয়া ১০হাজার, মো. শফিকুল ইসলাম ১৫হাজার, এ্যাড. আব্দুল মান্নান ১০হাজার, এ্যাড.উজির আলী ১৫হাজার, মো. আব্দুল ওহাব এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।
দান ও ধার দেনা করে ২০০৮ সালে এমপি হয়েছেন কাজী কেরামত আলী। তবে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কয়েক বছরে স্ত্রী-কন্যা ও নিজের নামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ্য সম্পদের পাহার। নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে চাকরী দেওয়ার নামেও কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন দলীয় লোকদের নিকট থেকে। দখল করেছেন দলীয় নেতাকর্মীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ফ্লাট।
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মন্ডল অকালে মৃত্যু বরন করার পর তার ছেলে আরিফ মন্ডলের নামে ৫একর জায়গার উপর নির্মিত একটি হ্যাচারী এবং তার স্ত্রী মোছা. আলেয়া বেগমের নামে ঢাকার একটি ফ্লাট দখল করে নেয়।
এব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম নুরুল ইসলাম মন্ডলের স্ত্রী মোছা. আলেয়া বেগম বলেন, আমার সন্তানের নামের হ্যাচারী এবং ঢাকার একটি ফ্লাট এমপি কাজী কেরামত আলী দখলে রেখেছেন। একাধিক বার এমপি’র কাছে গিয়েছি। তিনি ফিরে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, তবে ফিরে আজও পর্যন্ত দেয়নি।
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম নুরুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে আরিফ মন্ডল বলেন, দলীয় কারণে আমার বাবার সাথে কাজী কেরামত আলীর গভীর সর্ম্পক ছিল। আমাদের বাসায় ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে এমপি এবং তার স্ত্রী-কন্যা মাঝে মধ্যে আসা-যাওয়া করতো। তখন কাছ থেকে দেখেছি এমপি সাহেবের অবৈধ আয় নিয়ন্ত্রন করেন স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ও এক মাত্র কন্যা কানিজ ফাতেমা চৈতি। চাকরী দেওয়ার নামে, টিআর, কাবিখা ও দলীয় লোকদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।  
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন রনি বলেন, এমপি কাজী কেরামত আলী আমার স্ত্রীকে গোয়ালন্দ রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজে চাকরী দেওয়ার কথা বলে ৬লাখ টাকা নগদ নিয়েছেন। তবে তিনি চাকরী দেননি। অনেক ঘুরার পর পরবর্তীতে ৩/৪ বছর পর ৩লাখ টাকা ফিরে দিয়েছে। বাকী ৩লাখ টাকা এখনও দেয়নি।  
মো. মান্নান শেখ নামের এক ব্যক্তি বলেন, গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজে চাকরী দেওয়ার কথা বলে ৪লাখ টাকা নিয়েছিলেন। আমি সেই কলেজে চাকরি পায়নি। আমার দেওয়া ৪লাখ টাকাও পায়নি। আমি ধার-দেনা করে এমপি কাজী কেরামত আলীকে ৪লাখ টাকা দিয়েছিলাম। সেই টাকা সুদে-আসলে ৬লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে আমাকে। আমি সহ্য করতে না পেরে ষ্টক করি। পরবর্তীতে বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ বিক্রি করে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা হই।
তবে তার ও পরিবারের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী।

আরও খবর