শেরপুরের তুলশীমালা দেশের এক অনন্য পরিচয় বহন করছে। ‘তুলশীমালার সুগন্ধে, পর্যটনের আনন্দে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে শেরপুরে দীর্ঘদিন থেকেই তুলশীমালার ধান কৃষকরা ব্যাপকভাবে রোপণ করে আসছে। এর ন্যায্য মূল্য ও ব্যাপক প্রসার এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করার জন্য কৃষকরা প্রশাসনের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং কর্নার ও জি আই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। শেরপুরের কৃষক ও সর্বসাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও কৃষি বিভাগের অক্লান্ত পরিশ্রমে জি আই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে শেরপুরের বাহারি সুগন্ধি চাল তুলশীমালা।
২৯ মে ২০২৩ এ স্বীকৃতি শিল্প মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছেন। দেখতে দেখতে এক বছর পূর্তি হলো। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এ চালকে এক কেজির প্যাকেট করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করা হচ্ছে। এতে করে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। বাজারজাতকরণের সাথে জড়িত অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি নিজে ও পরিবারও স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্যাকেটে বাংলা এবং ইংরেজিতে চালের গুণাগুণ উল্লেখ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই চাল বিদেশে রফতানির লক্ষ্য নিয়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
এ বিষয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, তুলশীমালা চাল পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য করে তোলার জন্য জেলার পর্যটন কেন্দ্র গজনীতে তুলশীমালা চালের বিপণন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গজনীতে আগত পর্যটকরা সহজেই তুলশীমালা চালের প্যাকেট সংগ্রহ করতে পারবে।
৩ দিন ১ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৩ দিন ১ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৪ দিন ৫৩ মিনিট আগে
৪ দিন ২ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে