একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতির অন্যান্য বিষয়গুলো আলোচনা হবার কথা ছিল। তবে আকস্মিকভাবেই স্থগিত করা হয় সভাটি। তবে স্থগিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কেউ। এ নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোয়াশা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গঠন করা হয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিসহ তিনটি ইউনিট কমিটিও। এদিন সিন্ডিকেট সভায় ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবার কথা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফোন করে জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের কথা। কেন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
একই কথা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একজন সিন্ডিকেট সদস্য ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানকে একাধিকার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন কেটে দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, উপাচার্য তার ক্ষমতাবলে সভা স্থগিত করতে পারেন। তবে এভাবে সভা স্থগিত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি নির্ধারণ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সেশনজট ও অন্যান্য জটিলতা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, বেশিরভাগ সিন্ডিকেট মেম্বার এভেইলেবল না থাকার কারণে সিন্ডিকেট সভাটি স্থগিত করা হয়েছে। কবে নাগাদ সভা আহ্বান করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হয়তো আগামী সপ্তাহে সভা আহ্বান করা হতে পারে।
¶ শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ:
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৬৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলে (বিশেষ) গুচ্ছ পদ্ধতির পক্ষে কথা বলায় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের মারধরের শিকার হন সহকর্মীদের দ্বারা। এসম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদকে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সভায় ওই শিক্ষককে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছে তারা।
শুক্রবার রাতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এ দাবি করেন।