টাঙ্গাইল মহেরা জমিদার বাড়ি শিক্ষা সফরে, জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠ নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ কালিগঞ্জ কৃষ্ণনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গাঁজা বিক্রেতা ও ক্রেতার জেল-জরিমানা ফতুল্লার কাশীপুরে পিস্তলের গুলিতে পাভেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী রায়হান বাবু গ্রেফতার ভর্তিচ্ছুদের পাশে কুবি ছাত্রদল গৃহকর্মী-যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ জাবিপ্রবি ফটকে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, সর্বত্র বিএনপির ব্যানার রায়পুর রিপোর্টার্স ইউনিটির এপ্রিল মাসের সভা সম্পন্ন পাঁচবিবিতে ভূয়া ডিবি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদা দাবি গ্রেফতার-২ কবি ও সাংবাদিক বিল্লাল হাওলাদারকে সুনামগঞ্জে সংবর্ধনা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাঁশের ঝোপে বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার রায়গঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ইয়াবা কারবারি ও গাঁজাসহ গ্রেফতার-৮ আশাশুনি সরকারি কলেজে ৬ শিক্ষককে এডহক নিয়োগ এডভোকেট শহিদুল ইসলাম ৩ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মনোনীত লালপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত সর্বস্তরের শিক্ষা জাতীয়করণ চাই শিরোনামে যশোরে জেলা শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল সিরাজগঞ্জে স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বরিশালে মুফতি ফয়জুল করিমকে বৈধ মেয়র হিসাবে ঘোষনা করার দাবীতে গণমিছিল জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশী করতে গিয়ে দুই ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

বরিশালে তীব্র দাপদাহে ইলেকট্রনিক শো রুমগুলোতে এসি, ফ্যান, অতিরিক্ত দামে বিক্রি। ক্রাতাদের ভোগান্তি।


বরিশালসহ সারাদেশে তীব্র দাপদাহে  বিপর্যস্ত জনজীবন। এই গরমে হাফিয়ে উঠেছে বরিশাল নগরবাসী। এমন ভয়াভয় পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক পণ্যের মার্কেট, দোকান ও শো-রুমগুলোতে এসি, ফ্যান ও এয়ারকুলার বিক্রির ধুম পরেছে। জানা গেছে, ঈদ-উল ফিতরের পর থেকে তাপমাত্রার পারদ দিন দিন বেড়েই চলেছে।রোদের তাপে দিনের বেলা ঘর থেকে বাহিরে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পরেছে। তৃতীয় দফায় দেশব্যাপী সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।প্রচন্ড গরম থেকে রেহাই পেতে তাই বরিশালজুড়ে, এয়ারকন্ডিশনার এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও কিছুদিন আগেও ক্রেতাহীন দেখা গেছে, এসি-এয়ারকুলার ও ফ্যানের দোকানগুলো। আর এখন এসব দোকানগুলোতে ক্রেতা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই তারা কিনছেন এয়ারকুলার বা ভালো মানের ফ্যান। এছাড়া গরম বাড়ার সাথে সাথে লোডশেডিং বাড়ায় চার্জার ফ্যানের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। একাধিক ক্রেতাদের দাবি, গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে এসি, এয়ারকুলার ও ফ্যানের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।শনিবার (২৭ এপ্রিল) নগরীর পাইকারি শোহরুমে  ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশিরভাগ ক্রেতাই সিলিং ফ্যান-স্ট্যান্ড ফ্যান ও এয়ারকুলার কিনছিলেন। বিক্রেতারা বলছেন, গরম বাড়ায় ফ্যান ও এসির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগানেও টান পরেছে। ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় দোকানগুলোতে ফ্যান দিচ্ছে না। এজন্য তাদের নন ব্র্যান্ড ও বিদেশী ফ্যান বিক্রি করতে হচ্ছে।কাঠপট্টি এলাকার একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানে স্ট্যান্ড ফ্যান দরদাম করা বিএম কলেজ শিক্ষার্থী রনি সরদার বলেন, ছোট নন-ব্র্যান্ডের টাইফুন ফ্যানগুলোর দাম চাইছে ৯০০ টাকা। অথচ গত মাসেও এগুলোর দাম ছিল ৫০০ টাকা।ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১৬০০ টাকা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়।এছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১৭০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, বিদেশী ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।একই ফ্যানের ভিন্ন ভিন্ন দাম প্রসঙ্গে এক বিক্রেতা বলেন, কেউ আগের বছরের অবিক্রীত ফ্যান বিক্রি করছেন, তারা কিছুটা কমে দিতে পারছেন। গরম বাড়লে ফ্যানের দাম আরও বাড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকার নানা ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতে বেড়েছে এসি-এয়ারকুলার বিক্রি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ব্র্যান্ডের এসি ও এয়ারকুলারের দাম বেশি বলে মনে করেছেন ক্রেতারা। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, নানা অফার ও ইএমআইতে সাশ্রয়ী দামে এসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।বরিশাল নগরীর রুপাতলী  ওয়ালটনের প্রধান বিক্রয় কেন্দ্রের মালিক কালাম রাড়ী বলেন, গত কয়েক মাস এসি ও এয়ারকুলার একদম বিক্রি হয়নি। কিন্তু গরম বাড়ার সাথে সাথে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। নগরীতে ওয়ালটনের বেশ কয়েকটি শোরুম রয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র প্রধান এই শোরুমেই এপ্রিল মাসে একশটির উপরে এসি বিক্রি হয়েছে।।বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমগুলো ঘুরে জানা গেছে, ইনভার্টার এক টনের এসি ৪৫ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। দেড় টনের এসি ৬৫ থেকে ৮৩ হাজার টাকা এবং দুই টনের এসি ৭৮ হাজার থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০ লিটারের এয়ারকুলার ১১ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার টাকা, ৬০ লিটারের এয়ারকুলার ২০ হাজার ৫০০ থেকে ৩৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। 

আরও খবর