টানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে আবারও চলাচল শুরু করেছে স্পেশাল ট্রেন।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করা এই স্পেশাল ট্রেন শতভাগ যাত্রী নিয়ে সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়। বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানি।
তিনি জানান, স্পেশাল ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭টায় যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করবে। রাত ১০ টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামে গিয়ে পৌঁছাবে। এই স্পেশাল ট্রেন ঈদের পরবর্তী এক সপ্তাহ বা ২৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে।
এপ্রিলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেনটি চালু করেছিল রেল বিভাগ। যা ২৯ জুন এসে বন্ধ করে দেয়া হয়। কর্তৃপক্ষ ইঞ্জিন ও লোকো মাস্টার সংকটের অজুহাত দিলেও অভিযোগ রয়েছে, বাস মালিকদের চাপেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
যাত্রীসহ সচেতন মহল জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যাতায়াতে সড়কই ছিল একমাত্র পথ। বিমান এবং নৌ যোগাযোগ নেই। সময় ও অর্থ সাশ্রয়, নিরাপদ এবং আরামদায়ক এই বিবেচনা ট্রেনের এই স্পেশাল সার্ভিসটি জনপ্রিয়তা পায় ব্যাপক। এই সড়কপথে ১৪৫ কিলোমিটার দূরত্ব। যেখানে বাসে সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টার কাছা-কাছি। নন এসি বাসে ৪২০ টাকা, এসি বাসে ১ হাজার টাকা ভাড়া নেয়া হয়। এর বিপরীতে ট্রেনে নন এসি শোভন চেয়ারের ভাড়া ২৫০ টাকা, এসি স্নিগ্ধা চেয়ারের ভাড়া ৪৭০ টাকা। ট্রেনে যেতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চালু থাকা দুটি ট্রেনে চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২৩০টি সিট। অর্থাৎ প্রতিদিন চট্টগ্রামের ২৩০ যাত্রী দুটি ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ পেয়ে ছিলেন। আর স্পেশাল ট্রেনে রয়েছে ৭০৫টি সিট।
রেল কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, স্পেশাল ট্রেনটি লাভজনক। ৮ এপ্রিল চালু হওয়া ট্রেনটি থেকে ৫ মে পর্যন্ত মোট ২৫ দিনে ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকার রাজস্ব আয় হয়। যা প্রতিদিনে ২ লাখ টাকার বেশি। অথচ চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে মহানগর এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি এপ্রিল মাসে আয় করেছে ৫০ লাখ টাকা। উল্টো লাভজনক ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
এদিকে, বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধের অভিযোগ করে বিবৃতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীরা যখন স্পেশাল ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন, তখন বাসে যাত্রী সংকট দেখা দিলে যাত্রী প্রতি ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে আনে মালিকপক্ষ। এরপরই বন্ধ ঘোষণা করা হয় স্পেশাল ট্রেনের সার্ভিসটি।
এ নিয়ে আলোচনার-সমালোচনার মধ্যেই ১২ দিন পর আবারও স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে। এটি বন্ধ না করে ধারাবাহিক করার দাবি যাত্রীদের।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মো. গোলাম রব্বানি বলেন, ভবিষ্যতে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এ ছাড়া ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে পারে। যাত্রী সেবারমান কীভাবে আরও বাড়ানো যাবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিক
৩ দিন ১৭ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১২ দিন ১৯ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৪ দিন ১৯ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১৮ দিন ২১ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১৮ দিন ২১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৩৪ দিন ৮ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২০ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২১ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে