কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের মাটিচাপায় গর্ভবতী স্ত্রীসহ স্বামী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাঘোনা-খাজা মঞ্জিল এলাকায় এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও গেল বুধবার (১৯ জুন) কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে স্থানীয় দু'জনসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। এনিয় গত ৭২ ঘন্টায় কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পৌরসভায় নিহতরা হলেন, হাফেজ মো. আনোয়ার হোসেন (২৩) ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মায়মুনা আক্তার (১৮)। আনোয়ার হোসেন বাদশা ঘোনার প্রবাসী নজির আহাম্মদের ছেলে। আনোয়ার স্থানীয় ওমর ফারুক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্বপালন করতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমিশনার হেলাল উদ্দিন কবির ।
নিহতের চাচা আবদুল্লাহর বরাত দিয়ে তাদের প্রতিবেশী সায়মুন আমিন জানান, রাত তিনটার দিকে ভারী বর্ষণ শুরু হওয়া এক ঘন্টার বৃষ্টিতে অকস্মাৎ বাড়ির লাগোয়া পাহাড় ধসে আনোয়ারদের ঘরের চালে পড়ে। এতে চালটি দেবে গিয়ে খাটে ঘুমানো স্বামী-স্ত্রীকে চাপা দেয়। এতে অন্যরুমে থাকা আনোয়ারের মা-বোনেরা উঠে শোর-চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মাটি সরিয়ে আনোয়ার ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া বুধবার (১৯ জুন) সকালে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প-১,৮,৯,১০,১৪ তে ৩ জন বাংলাদেশি সহ ৭ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।
ক্যাম্পে নিহতরা হলেন, ক্যাম্প-০৮ই এর মোহাম্মদ হারেস (০২), ক্যাম্প-০১ ওয়েস্ট এর মোছা. পুটনী (৩৪), ক্যাম্প-৯, ব্লক- বি/১৪ এর মো. হোসেন আহমেদ, ক্যাম্প-৯, ব্লক- বি/১৪ এর আনোয়ারা বেগম, ক্যাম্প-১০, ব্লক- এফ/১০ এর সেলিনা খাতুন, ক্যাম্প-১০, ব্লক- এফ/১০ এর আবু মেহের, ক্যাম্প-১০, ব্লক- এফ/১০ এর জয়নব বিবি, ক্যাম্প-১০, ব্লক- এফ/১০ এর মো. আবুল কালাম, ক্যাম্প-১৪ এর মো. সালমান এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্যাম্প-১৪, সি/০২ ব্লক এর মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।
তিনি জানান, পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসবাস হওয়ায় এলাকাগুলো পাহাড় ধসপ্রবণ। একারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানিয়েছেন, নিহত এক স্থানীয়ের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ।
প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা, যাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর নৃশংসতার মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে বসবাস করছে। তাদের অনেকেই ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২১ জুন শুক্রবার চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পাহাড় ধস হতে পারে। তাই পাহাড়ধস থেকে রক্ষা পেতে ঝুকিপূর্ণ স্থান থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
৩ দিন ১১ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১২ দিন ১৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৪ দিন ১৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১৮ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
১৮ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৩৪ দিন ২ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৩৬ দিন ১৪ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩৬ দিন ১৫ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে