জোয়ারের পানি আর পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কক্সবাজার জেলার অন্তত শতাধিক গ্রাম। বিশেষ করে ঈদগাঁও, চকরিয়া-পেকুয়া আর রামুতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন অংশে রেললাইনের উপর পানি উঠে যাওয়ায় সব ধরণের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী।
মো. গোলাম রব্বানী বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের রেল পথে বিভিন্ন অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। যার কারণে কক্সবাজার থেকে সব ধরণের ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পর্যটক এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও বিশেষ ট্রেন চলাচল করে এ রুটে। সকালের ট্রেন যাবার পর থেকে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ঈদগাঁও, চকরিয়া-পেকুয়া আর রামুতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। নিরাপদ আশ্রয় ছুটছে এসব উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ।
রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল, ডেঙ্গারচর, পশ্চিমবোমাংখিল, জুমপাড়া, পাতালবরপাড়া, রাজঘাট, জাউচপাড়া, মরিচ্যাচার, জুমছড়ি, পূর্বজুমছড়ি, মইন্যাকাটা, পূর্ববোমাংখিল, বোমাংখিল ও মাঝিরকাটার একাংশের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানান গর্জনিয়ার বাসিন্দা হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে শুকনা খাবার দরকার। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় মানুষজনকে নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন।
ঈঁদগাও উপজেলার ইসলামাবাদ, পোকখালী ও ইসলামপুর এলাকার মানুষও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে মৎস্যঘের, গবাদি পশুর খামার। এসব এলাকায় জরুরী সহায়তা চেয়েছেন উপজেলা যুব রেডক্রিসেন্টের টিম লিডার আজিজুল ইসলাম আরজু।
তিনি বলেন, সাধারন মানুষ পানিতে বন্দি হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সবার উচিত তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো। আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছি।
৩ দিন ৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
১২ দিন ৬ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
১৪ দিন ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১৮ দিন ৮ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
১৮ দিন ৮ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৩৩ দিন ১৯ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৩৬ দিন ৭ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৩৬ দিন ৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে