দিনাজপুরে চাঞ্চল্যকর প্রভাষক আরিফুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী তার স্ত্রী সুইটি ইয়াসমিন,শ্বাশুড়ী স্বপ্না বেগম ও শালা আসাদুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ৩।
উল্লেখিত গত ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০নং কমলপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ী এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছোট ছেলে ৮নং শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর শালকি আহমাদিয়া দ্বিমুখী আলিম মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ আরিফুল ইসলামকে বগুরার বাসিন্দা তৎকালীন সময়ে পুলিশে নিয়োজিত ইউনুস আলীর মেয়ে উথরাইল দাখিল মাদ্রার শিক্ষিকা আরিফুলের স্ত্রী সুইটি ইয়াসমিন তার মা স্বপ্না বেগম ও ছোট ভাই আসাদুল ইসলাম সুমনের সহোযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে শ্বাস রোধ করে স্বামীকে হত্যা করে শোবার ঘড়ের সেলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।অনেক চেষ্টার পর আরিফুলের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক সন্তান হত্যার ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের স্বরনাপর্ন হওয়ার পর সুইটি ইয়াসমিনকে প্রধান আসামী করে তার বাবা ইউনুস আলী,ছেলে আসাদুল ইসলাম সুমন,ও তার মা স্বপ্না বেগমকে আসামী করে একটি মামলা রুজু হয়।পরবর্তীতৈ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুল ইসলাম হত্যার সাথে সুইটির বাবা ইউনুস আলীর সম্পৃক্তার কোন প্রমান না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে বাকী তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্যসিট প্রদান করে।ময়না তদন্ত রিপোর্ট পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন এবং আগামী ২৪ অক্টোবর ২২ এ সাক্ষী গ্রহনের দিন ধার্য করে আদেশ দেন দিনাজপুর জেলা দায়রা জজ আদালত ৩। আরিফুলের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন যারা আমার নিরীহ সন্তানকে অন্যায়ভাবে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের মৃত্যুদন্ড চাই।যেন ভবিষ্যতে কেউ আর কারো বুকের ধন এভাবে কেড়ে নিতে না পারে।