তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন আমাদের কোন সমাবেশ করতে দেয়া হতো না। আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কাঁটাতারের বেড়া থাকতো। সে বেড়ার বাইরে আমারা যেতে পারতাম না। অথচ আমরা এতো বছর ক্ষমতায় থেকেও কখনো বিএনপিকে দমন করার নীতি অবলম্বন করিনি। তবে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে জনগণ ছাড় দেবেন না।
১৮ নভেম্বর ( শুক্রবার) মন্ত্রী ৫৭ তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে এসব কথা বলেন। সরকার বিএনপিকে হেফাজতের মতো দমন করতে চায়- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালে আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড় হামলা হয়েছে। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা করে বেশ কয়েকজন মানুষকে তারা হত্যা করেছিলো। আহসান উল্লাহ মাস্টার, ড. এস এম কিবরিয়া, সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সমাবেশের উপর তারা বারবার হামলা চালিয়েছে। বোমা ও গ্রেনেড চালিয়েছে। তিনি বলেন, এখন আমরা ক্ষমতায় অথচ বিএনপির সমাবেশে একটি ফটকাও ফুটেনি। তারা যাতে সুন্দরভাবে সমাবেশ করতে পারে সরকার সব সময় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাদের উস্কানিমূলক আচরণের পরও আমাদের নেতা-কর্মীদের সংযত আচরণ করার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি। নেতা-কর্মীরা দলীয় নির্দেশ মেনে সংযত রয়েছে।
এর আগে বিশ^বিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলাদলি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনীতির প্রতিযোগিতার পরিবর্তে জ্ঞানের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে হবে। শৃংখলা বজায় রাখতে হবে। সুষ্ঠু পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ^জ্ঞানের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন - বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানের করতে এখানে বছরভিত্তিক আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রকাশ করতে হবে। সে জার্নালে দেশি-বিদেশি গবেষকদের গবেষণা প্রবন্ধ প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। জার্নালটি এত মানসম্পন্ন করতে হবে যে বিদেশি গবেষকরা যেন এ জার্নালে নিজেদের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের জন্য উম্মুখ হয়ে থাকে। এ জার্নালকে যেন রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। পাশাপাশি সুষ্ঠু দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা জোরদার করতে হবে। চারুকলা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চারুকলা বিভাগ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় বর্ণহীন হয়ে যায়। তাই চারুকলা বিভাগের মাস্টার্সের কোর্স যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।
ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রো-ভিসি প্রফেসর বেনু কুমার দে, বিশ্বিবদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন সভাপতি ও সাবেক মুখ্যসচিব আবদুল করিম, এলামনাই এসোসিয়েশনের সম্পাদক মাহবুবুল আলম, প্রক্টর প্রফেসর রবিউল হাসান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বক্তৃতা করেন।
৪৩২ দিন ২১ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৪৩৯ দিন ২০ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৪৪৪ দিন ২৩ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৪৪৫ দিন ২২ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৪৫২ দিন ৩ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৪৫৬ দিন ২২ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৪৫৭ দিন ১৭ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৪৫৮ দিন ১৬ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে