জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে সাইফুল ইসলাম খোকা নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম খোকা একই উপজেলার নীলাখিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদকে আসামি করে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী খোকা। মামলায় নুর মোহাম্মদের সহোদর ছোট ভাই নীলাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তারকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বকশীগঞ্জ থানার উপ-পরিদশর্ক (এসআই) আব্দুল হান্নান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে খোকা বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৯। মামলার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেছে।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার নীলাখিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের পর সন্ধ্যায় উপজেলা আ.লীগের কার্যালয় থেকে কমিটি ঘোষণার কথা ছিল। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও তাঁর ছোট ভাই নজরুল ইসলাম সাত্তার সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি দেওয়ার কথা বলেন এবং ওই কমিটিতে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য নীলাখিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও নীলাখিয়া আব্দুস ছালাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোকাকে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় নুর মোহাম্মদ ক্ষুব্ধ হয়ে দলের নেতাদের সামনে একটি কাচের গ্লাস খোকাকে লক্ষ্য করে ছুঁঁড়ে মারেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে খোকা তাঁর মাথা সরিয়ে নিলে গ্লাসটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ঘরের দেয়ালে লাগে। পরে খোকার শার্টের কলার ধরে নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই ইউপি চেয়ারম্যান সাত্তার কিল-ঘুষি মারেন। এক পর্যায়ে খোকাকে লাথি মারেন নুর মোহাম্মদ। পরে দুই ভাই মিলে খোকাকে টেনেহিঁচড়ে মারধোর করাসহ শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ওই ঘটনার পর পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে খোকাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে খোকাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে কেনো দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এ ব্যাপারে সাত দিনের মধ্যে খোকাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী খোকা বলেন, ‘আমি শুধু একজন নেতাই নয়, আমি একজন শিক্ষকও। দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে সবার সামনে আমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ অন্যায়ভাবে কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনেই, আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা কেমন বিচার! ৪০ বছর ধরে আ.লীগ করে, এটা প্রাপ্য ছিল? প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে—বকশীগঞ্জ ঢুকতে দেবে না, যেখানে পাবে, সেখানেই মারধর করা হবে।’
অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বলেন, 'সাইফুল ইসলাম খোকা ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতাদের কাছ থেকে দলের পদ নেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। ওই ঘটনা ঢাকতেই আমার বিরুদ্ধে অযথা মামলা করেছে।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হান্নান বলেন, 'আ.লীগ নেতা খোকাকে মারধোরের আলামত জব্দ করা হয়েছে। আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানা যাবে ঘটনার প্রকৃত রহস্য।'
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, 'আ.লীগ নেতা খোকাকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১ দিন ১৯ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১ দিন ২২ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৩ দিন ১৬ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৪ দিন ১৬ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৮ দিন ২২ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
১৩ দিন ১৮ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১৬ দিন ১৬ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১৭ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে