শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে ও ভিন্নমাত্রায় আনন্দ দিতে দৃষ্টিনন্দন ভাসমান সেতু, ওয়াটার কিংডম ও প্যারাট্রবাসহ ৩টি আকর্ষণীয় রাইডারের উদ্বোধন করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে ওইসব রাইডারের উদ্বোধন করেন, শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। এছাড়াও প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা ব্র্যান্ডিং কর্ণার নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণপিয়াসুদের কাছে খুবই পছন্দের একটি স্থান। এ কারণে গজনীতে নতুন নতুন স্থাপনা ও বিভিন্ন রাইডার সংযোজনের মাধ্যমে গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রকে ভ্রমণপিয়াসুদের আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হচ্ছে। উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপ-সচিব) তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহমুদুল হক, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবীর, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল আলম ভুইয়াসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এছাড়াও শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ শরিফুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্তসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, রাইডার ও স্থাপনাগুলোর ইজারাদার উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে দর্শনার্থীদের জন্য রাইডারগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, শেরপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা গারো পাহাড়ের পাদদেশে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী শালবনের প্রায় ৯০ একর জায়গাজুড়ে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। শালবনের ভেতর উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলা, নদী-ঝর্ণার অপূর্ব সমাহার এবং নান্দনিক ও আকর্ষণীয় নানা স্থাপনা নির্মাণের ফলে গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র এখন জেলার বৃহৎ পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর এখানে হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসছে।
২ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
২ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৩ দিন ১৭ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৩ দিন ১৯ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে