বিয়ে না করেও ৪৯ বছরে মা হচ্ছেন আমিশা! ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বিএনপি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন’ সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অজাত ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার টাঙ্গাইল মহেরা জমিদার বাড়ি শিক্ষা সফরে, জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠ নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ কালিগঞ্জ কৃষ্ণনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গাঁজা বিক্রেতা ও ক্রেতার জেল-জরিমানা ফতুল্লার কাশীপুরে পিস্তলের গুলিতে পাভেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী রায়হান বাবু গ্রেফতার ভর্তিচ্ছুদের পাশে কুবি ছাত্রদল গৃহকর্মী-যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ জাবিপ্রবি ফটকে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, সর্বত্র বিএনপির ব্যানার রায়পুর রিপোর্টার্স ইউনিটির এপ্রিল মাসের সভা সম্পন্ন পাঁচবিবিতে ভূয়া ডিবি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদা দাবি গ্রেফতার-২ কবি ও সাংবাদিক বিল্লাল হাওলাদারকে সুনামগঞ্জে সংবর্ধনা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাঁশের ঝোপে বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার রায়গঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ইয়াবা কারবারি ও গাঁজাসহ গ্রেফতার-৮ আশাশুনি সরকারি কলেজে ৬ শিক্ষককে এডহক নিয়োগ এডভোকেট শহিদুল ইসলাম ৩ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মনোনীত লালপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত

বশেমুরবিপ্রবিতে নিয়োগবোর্ডকে কেন্দ্র করে খুকৃবির সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ





গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের 'এক্সপার্ট মেম্বার' হিসেবে আছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান। এএসভিএম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও একটি জাতীয় পত্রিকায় 'ধর্ষক ও দুর্নীতিবাজ' সাবেক উপাচার্যের আগমন সম্বলিত লেখা প্রচার করা হয়। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা।



দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছে এএসভিএম বিভাগ। শিক্ষক সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য একাধিকবার অবস্থান ও আন্দোলন কর্মসূচি করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বানচাল করতেই এ ধরনের প্রচারণা বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। এএসভিএম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আর এস মাহমুদ হাসান বলেন, "আমাদের শিক্ষক সংকট ও ল্যাব সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সকল সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া হলে সেশনজটসহ বিভিন্ন একাডেমিক সমস্যায় পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের"। 



অন্যদিকে আদালতের রায়ের পরে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার সুযোগ না থাকলেও অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক-দুর্নীতিবাজ বলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খুকৃবির সাবেক এই উপাচার্য। ইতোমধ্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপিও ছাপিয়েছে পত্রিকাটি। তবে দেখা গেছে, আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে নি, উলটো আদালত কর্তৃক বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে খুকৃবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানকে।


এ ধরনের প্রচারণাকে আদালতের রায়ের উপর মিথ্যাচার করে আদালত অবমাননার পাশাপাশি মানহানি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য।



তিনি এ বিষয়ে বলেন, "বশেমুরবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডে আমি অনেক আগে থেকেই সদস্য। শুধু বশেমুরবিপ্রবি না, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের আমি সদস্য। উপাচার্য থাকাকালীন সাধারণত সবার বিরুদ্ধেই কিছু না কিছু অভিযোগ উঠে। কিন্তু একজন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে যেখানে তাকে দোষী বলার সুযোগ নেই, সেখানে আদালত প্রমাণ না পেয়ে বেকসুর খালাস দেয়া স্বত্বেও আমাকে ধর্ষক বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজ বলা হয়েছে। যা সরাসরি দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন ও আদালত অবমাননার মধ্যে পড়ে"। 



এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. হুর-ই-জান্নাত জ্যোতি বলেন, "শহীদুর রহমান স্যার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হলেও উনি দেশের একজন নামকরা কৃষিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র অধ্যাপক। বশেমুরবিপ্রবির নিয়োগ বোর্ডের আগেই হঠাৎ করে তাকে নিয়ে লেখালেখি দেখতে পাই। তবে আমি বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য"।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনকে কেন্দ্র করে এএসভিএম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল হয়।

Tag
আরও খবর