মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন ধরে গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিদ্দিকুর রহমান কতৃক নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকারের সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দূর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পদত্যাগ করছেন বা পদত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু সাতক্ষীরা সদর গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার সিদ্দিকুর রহমান বিভিন্ন অনিয়ম ও নিয়োগ বানিজ্য করে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে ২০২৪ সালের ১ম দিকে অফিস সহকারী নিয়োগে মোনায়েম নামের একজনের কাছ থেকে এককালীন নগদ ১৮ লক্ষ টাকা এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে আরো ২ লক্ষ টাকা সহ মোট ২০ লক্ষ (বিশ লক্ষ) টাকা নিয়ে দূর্নীতি ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। যার ১টা টাকাও মাদ্রাসা ফান্ডে জমা হয়নি। উল্লেখ্য,উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় ৭ জন প্রতিযোগী পরিক্ষার্থীর মধ্যে নিয়োগকৃত মোনায়েম ৭ নম্বর পজিশনে থাকা স্বর্তেও টাকার বিনিময়ে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে তাকে নিয়োগ দেন সুপার ছিদ্দিকুর রহমান ছিদ্দিক।
তাছাড়া ২০২২ সালে নাজমা খাতুনকে আয়া নিয়োগে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে আরো ২ লক্ষ টাকা সহ মোট ১২ লক্ষ টাকা তিনি হাতিয়ে নেন। যার ১টা টাকাও মাদ্রাসা ফান্ডে জমা হয়নি। সুপার ছিদ্দিকুর রহমান আওয়ামি লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় থাকায় সবকিছু জানা স্বত্বেও চাকুরী হারানোর ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলা বা টু শব্দ করার সাহস পাননি। সুপারের খুব কাছের লোক হওয়ায় সবুজ নামের এক শিক্ষক প্রায় দেড় বছর যাবত ছুটি না নিয়েই ছুটি কাটাচ্ছেন। কারন ওই শিক্ষক বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে
সুপারের সহযোগিতায় চাকুরী দেওয়ার নাম করে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন।বর্তমানে তিনি পাওনা দারের ভয়ে মাদ্রাসায় আসেন না কিন্তু নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।তা ছাড়া তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষকদের সরকারি টিউশন ফি শিক্ষকদের দেওয়া হয় না বলে একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন। তাছাড়া মাদ্রাসার আমবাগান বিক্রির টাকা, জমির লীজের টাকাসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের টাকা কারোর হিসাব না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। শিক্ষকদের মধ্যে স্বজন প্রীতি এতটাই যে কেউ তার শ্যালক, শ্বশুর, বেয়াই এবং প্রতিবেশি হওয়ায় তিনি মাদ্রাসায় রামরাজত্ব কায়েম করে বহাল তবিয়তে রয়েছে। কট্টরপন্থী আওয়ামীলীগের লোক হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস না পেলেও বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এব্যাপারে মুঠোফোনে সুপার ছিদ্দিকুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান সবকিছু তো আপনারা জেনে গেছেন তাই আমি এব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবো না। সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
৯ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে