কুলিয়ারচরে IFIC ব্যাংকের ৬ স্টাফ রহস্যজনক ভাবে অজ্ঞান লাখাইয়ের বামৈ গরু বাজারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি, বিক্রি হচ্ছে ছোট এবং মাঝারি সাইজের গরু। চিলমারীতে ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার উলিপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মৃত্যু মধুপুরে দারুল রিয়াসাদ হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এর উদ্বোধন আদমদীঘির নসরৎপুরে ১হাজার ৬৮৮ জনের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ বগুড়ার আদমদীঘিতে ৪ কেজি গাঁজাসহ বাসযাত্রী গ্রেপ্তার আদমদীঘির নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় চট্টগ্রামে নির্মিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম মনোরেল লালপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ার আক্রান্ত শতাধিক ইপিজেড শ্রমিক, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জয়পুরহাটে বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে ২ জনের মৃত্যু,পুলিশ সদস্যসহ নিখোঁজ-২ মোংলা নৌ চ্যানেলের খননকাজ আবারও শুরু হচ্ছে মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষনা করলে আস্থার সংকট কেটে যাবে,চৌদ্দগ্রামে ডা.আবদুল্লাহ মো তাহের বাড়ছে তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হলো ৪৪ গেট শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল কমলো জ্বালানি তেলের দাম এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেলো জামায়াতে ইসলামী ঘাটাইলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত পালিত বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক : দুই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

পীরগাছায় সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা ছাত্র আন্দোলনে নিহত মনজুর স্ত্রী রহিমা

ছাত্র আন্দোলনে নিহত মনজুর স্ত্রী ও তার সন্তানরা। উপরে মনজু।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে গত ২০ জুলাই পুলিশের গুলিত আহত হন মঞ্জু মিয়া (৪১)। একমাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২০ আগস্ট ঢাকায় মারা যান তিনি। এরপর তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৩১) ঢাকা থেকে স্বামীর লাশ তার স্বামীর গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগাছায় ছাওলা ইউনিয়নের জুয়ানে নিয়ে আসেন। দাফনের একমাস পার হলেও দুই সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা রহিমা বেগম। কি করবেন, কোথায় যাবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছেনা। স্বামী মারা যাওয়ার পর স্বামীর বাড়ির লোকেরা তাকে বাঁকা চোখে দেখেন। খোঁজ-খবর নেন না। শ^শুর ইনছার আলী ঠিকমতো কথা বলেন না এমনকি রহিমার কারণে নাকি তার ছেলে মারা গেছে এমন অপবাদ দেন। ভবিষ্যতে শহিদের স্ত্রী হিসেবে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন রহিমা। রহিমার বাবার বাড়ি একই উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের সাহেব বাজারে। ছিয়াশি বয়সের তার বাবা আব্দুর রহমান থাকেন সরকারি জমিতে। বয়সের ভারে কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। তার উপর স্বামী হারা মেয়ে। বর্তমানে রহিমা বেগম তার বাবার বাড়িতে আছেন। কি করে তাকে ও এতিম সন্তানদের খাওয়াবেন এমন আকুতি বাবা আব্দুর রহমানের। একদিকে শ^শুরবাড়ির লোকজনের অবহেলা অন্যদিকে বাবার বাড়ির আর্থিক অস্বচ্ছলতা। স্বামী মারা যাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন ও জামায়াতের পক্ষ থেকে যতটুকু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তা ঢাকা থেকে স্বামীর লাশ নিয়ে আসা পরিবহন ভাড়া, দাফনকার্য, পাওনাদারকে দিয়েই শেষ।

কাঁন্নজড়িত কন্ঠে রহিমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে হারিয়ে এখন আমি দিশেহারা। দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো? আমি কি শহিদের স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা পাবো না। এসময় তিনি সরকারের কাছে শহিদের স্ত্রী হিসেবে মর্যাদার দাবি করেন। রহিমা বেগম মঞ্জুর মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই সন্তানও রয়েছে। তবে প্রথম স্ত্রী অন্যের ঘর করছেন বলে জানান রহিম বেগম। 

রহিমার বাবা আব্দুর রহমান বলেন, আমি নিজেও কোন কর্ম করতে পারিনা। স্বামী হারা মেয়ে ও তার দুই সন্তানকে কি করে খাওয়াব? রহিমার শ্বশুর ইনছার আলী জানান, রহিমা বেগম আমার কথামতো চলছেনা। এনিয়ে তার সাথে আমাদের সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না, সত্য! 


আরও খবর