২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এবারও শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করে জুনিয়র টাইগাররা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
৮ ডিসেম্বর, রবিবার দুবাই স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে ১৩৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত।
ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব বাংলাদেশের ঘরে। আজিজুল হাকিমের বলে আউট হলেন চেতন শর্মা। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ নিতেই আনন্দে ভাসল বাংলাদেশ। মাঠে কৃতজ্ঞতার সিজদাহ। উড়ল বাংলাদেশের পতাকা।
এর আগে যা করেছিলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা, সেটাই এবার করে দেখালেন আজিজুল হক তামিমের দল। তবে এবারে আনন্দের উপলক্ষ্যটাও কিছুটা বেশি। কারণ ফাইনালে যে বাংলাদেশ উড়িয়ে দিয়েছে রেকর্ড ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকেই।
১৯৯ রানের ছোট এক লক্ষ্য। কিন্তু সেটাকেই ভারতের জন্য পর্বতসমান করে ফেলে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। একের পর এক উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। থিতু হতে দেননি কাউকেই। কেপি কার্তিকেয়া ছাড়া আর কেউই সেভাবে পরীক্ষা নিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটের। তবে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের পথটা সহজ করে দেন টাইগারদের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
অবশ্য জয়ের পথে বাংলাদেশের পথটা সহজ করে ফেলেছিলেন মূলত ইকবাল হোসাইন ইমন। এক স্পেলে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন তিনিই। একই ওভারে প্রায় একই রকমের ডেলিভারিতে ফেরান কার্তিকেয়া এবং নিখিলকে। দুজনেই ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। এক ওভার পরেই ফের তার আঘাত। এই দফায় আউট হলেন হারভানশ পানগালিয়া। এই দফায়ও উইকেটের পেছনেই গিয়েছে ক্যাচ। বাংলাদেশও তাতে ম্যাচে ফিরেছে দারুণভাবে।
১৯৯ রানের লক্ষ্যে ভারতকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন আল ফাহাদ। দলীয় ৪ রানেই আয়ুশ মহাত্রেকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন এই পেসার। বিপদের আভাস দিচ্ছিলেন আলোচিত কিশোর বৈভব সুর্যবংশী। কিন্তু তাকে বাড়তে দেননি মারুফ মৃধা। খানিক পরেই রিজান ফেরান আন্দ্রে সিদ্ধার্থকে।
এরপরেই মূলত ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় ভারত। কেপি কার্তিকেয়া আর মোহাম্মদ আমানের ২৯ রানের জুটি বেশ অনেকটাই এগিয়ে দেয় ভারতকে। আম্পায়ারের পক্ষ থেকে একাধিক সফট সিগন্যাল গিয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। যা নিয়ে মাঠে উত্তাপও ছড়িয়েছে বেশ। কিন্তু এরপরেই ইমনের দুর্দান্ত এক স্পেল। ৭৩ রানে ৩ উইকেট থেকে ৮১ রানে ৬ উইকেট।
এরপর কিরণ চারমোলেকে নিয়ে আমানের চেষ্টা ছিল জুটি গড়ার। তবে আল ফাহাদ ফেরান কিরণকে। উইকেটের পেছনে ব্যস্ত দিন ছিল ফরিদের। ৪টি ক্যাচ নিয়েছেন একাই। এরপরে আর বাড়েনি ভারতের ইনিংস। শেষ উইকেটে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে আউট হলেন চেতন শর্মা।
ফাইনাল ম্যাচের সেরা হয়েছেন ৩ উইকেট নেওয়া ইকবাল হোসেন ইমন।
১ দিন ৩ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
২ দিন ৪ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
৬ দিন ৪৯ মিনিট আগে
৭ দিন ১ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৭ দিন ১ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
১১ দিন ৫ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১৮ দিন ১৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
২১ দিন ৪ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে