শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর আশ্রয়ন প্রকল্পের বসতঘর থেকে নিখোঁজ হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা রুনা বেগম। এ বিষয়ে তার স্বামী শহিদুল মণ্ডল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শহিদুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। নির্মাণকাজের জন্য স্ত্রীকে নিয়ে ছয় মাস ধরে সেখানে বসবাস করছিলেন। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই তিনি ফরিদপুরের মৃগী কানাইপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী রুনাকে বিয়ে করেন।
শহিদুলের অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর রুনার মা, বোন ও বোনের জামাইয়ের প্ররোচনায় তিনি ছয় মাসের ভ্রূণ নষ্ট করেন। এ ঘটনায় শহিদুল ফরিদপুর আদালতে মামলা করেন, যা এখনো চলমান। পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হলে তারা আবার একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
শহিদুল জানান, রুনা সৌদি যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছিলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি পুনরায় সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে রুনা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১৪ ফেব্রুয়ারি শহিদুল কাজে গেলে, বাসা ফাঁকা করে নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিয়ে পালিয়ে যান রুনা।
শহিদুলের দাবি, রুনার পরিবার তাকে লুকিয়ে রেখেছে এবং বিদেশ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
এদিকে, রুনার বাবা ছবেদ মোল্লা বলেন, শহিদুল প্রতারক। আমার কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছে, ঘর করে দিয়েছি। এখন মেয়ে গুম করে নাটক সাজাচ্ছে।
নড়িয়া থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দীন মোল্লা জানান, অভিযোগ তদন্তাধীন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩৬ মিনিট আগে
৪৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে