লাখাইয়ের পরিদর্শিকা সুচিত্রার নেশা শুধু টাকা ,সেবা নিতে আসা রোগীদের নানা ভোগান্তি।
লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করাব ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে গর্ভবতী নারীদের ভাতা কার্ড সুবিধা পেতে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সুচিত্রাকে দিতে হচ্ছে টাকা। এ ছাড়াও অফিস চলাকালিন সময়ে রোগীদের কাছ থেকে রোগী দেখাবাবদ টাকা, হাসপাতাল থেকে সরকারী ঔষধ ও গর্ভবতী নারীদের প্রসব পূর্ব চেকআপ করতে টাকা,প্রসবের সময় পেরিনিয়াম কাট বা এপিসিওটমি সেলাই(প্রসবকে সহজ করতে ছোট্ট কাঁটা-ছেড়াঁ) করতে টাকা, ইমপ্ল্যান্ট (কার্যকর গর্ভনিরোধক পদ্ধতি’র) জন্য দিতে হচ্ছে টাকা । এমনই অনেক অভিযোগ ওই পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সুচিত্রা রানী দাশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পুর্ব সিংহগ্রামের পারভিনের মা বলেন, আমার মেয়ের সন্তান প্রসবের জন্য ৫ নং করাব ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা সুচিত্রার কাছে আসি, তার পর তিনি ডেলিভারি শেষে আড়াই হাজার টাকা নেয়। সরকারী হাসপাতালে ডেলিভারি করালেও সরকারী কোন ঔষধ দেয়নি।
আরেক ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার বলেন, আমি ডেলিভারি ব্যথা নিয়ে ৫নং করাব পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসি,তখন ভোর ৫:৪০ মিনিট বাজে,পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের গেইটের সামনে এসে অনেক ডাকাডাকি করে ব্যর্থ হয়ে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা সুচিত্রার ফোনে কয়েকবার কল করার পরে সুচিত্রা ফোন রিসিভ করে বলে আপনারা ৯টার পরে আসেন, আমি এখন ঘুমাচ্ছি।
৫নং করাব ইউনিয়ন পরিবার কল্ল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা জোসনা আক্তার প্রতিবেদককে বলেন আমি ১ঘন্টা হলো হাসপাতালে আসছি আমি কোন চান্স পাচ্ছি না,কিছুক্ষণ পর পর ঔষধ কোম্পানির লোক সুচিত্রার সাথে দেখা করছে,আর ঔষধ কোম্পানির লোকেরা ব্যাগ ভরে কি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ নাইমুর রহমান পিয়াস প্রতিবেদককে বলেন,সুচিত্রার সকল বিষয়ে আমি অভগত হয়েছি, আর রিপ্রেজেনটিবদের ব্যাপারটা আমি দেখতেছি।