আদমদীঘিতে ৭ শ্যালোর পাম্প চুরি, দিশেহারা কৃষক ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল মাদকের বিরুদ্ধে খোকসার ওসির জিরো টলারেন্স ঘোষণা সুন্দরবনের ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক: জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার। প্রিয়জন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন আশাশুনিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা ছাত্র নেতা শামীমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সংবাদ সম্মেলন আশাশুনিতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার আভাস প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর মহাসমাবেশের ডাক দিল হেফাজতে ইসলাম একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন ১৯ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা গরমে ত্বকের যত্নে উপকারী উপায় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের পর ইসিকে নির্বাচনী কাজ শুরুর আহ্বান এনসিপির রাজবাড়ীতে ওটিপি প্রতারণায় ৮ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ। রাজবাড়ীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির আত্ম প্রকাশ ও নবীন বরণ

আজ আদমদীঘি হানাদার মুক্ত দিবস

ছবি : প্রতিনিধি


আজ ১২ ডিসেম্বর। বগুড়ার আদমদীঘি থানা পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ ৯মাস বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুহুর্মুহু গেরিলা আক্রমনে পাক হানাদার বাহিনী পালিয়ে যাওয়ায় ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আদমদীঘি থানা সদরকে পাক-হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেন। কিন্ত ১২ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবসটি পালনে আলাদা কর্মসুচী গ্রহন করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা দাবী জানিয়ে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন তা পালন করেন না।

আদমদীঘি থানা এলাকায় পাক হানাদার বাহিনী এবং এ দেশীয় দোসর রাজাকারদের পাশাপাশি বিহারীদের (অবাঙ্গালী) অত্যাচার ছিল অবর্ণনীয়। ১৯৭১ সালের এপ্রিলের শুরু থেকেই বিভিন্ন গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মানুষ হত্যাসহ ধর্ষনের ঘটনাও ঘটিয়েছিল বিহারী ও পাক হানাদাররা। সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে ৯মাস কোন বাঙ্গালীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। বাঙ্গালী দেখা মাত্রই চালানো হতো নির্মম নির্যাতন। প্রত্যেক বিহারীই ছিল অস্ত্রধারী। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার মরহুম এল,কে আবুল হোসেন, ফজলুল হক, আজিজার রহমান নান্টু, মেজর আব্দুল হাকিম, মুনছুর রহমান, নাজির হোসেন, আব্বাস আলীসহ অন্যান্য যুদ্ধকালিন কমান্ডারদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদারদের সাথে আদমদীঘির কুসুম্বী গ্রাম, রেল স্টেশান, নশরতপুর, মথুরাপুর গাদোঘাট রেলওয়ে ব্রীজ, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহর রানীনগনসহ গুরুত্বপূর্ন স্থানে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে বেশ কিছু পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। শুরু থেকে রক্তদহ বিল, বোদলা, পালসা, বিহিগ্রাম, বিষœপুর, গণিপুর, কদমা, বেজার, থলবড়বরিয়া গ্রাম ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ মুক্ত এলাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের চারিদিকের আক্রমনে পাক হানাদার বাহিনী পর্যুদস্ত হয়ে ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর সকাল থেকেই আদমদীঘি থানা সদর থেকে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে পালিয়ে একত্রিত হয়। অবশেষে ওইদিন দুপুরে আদমদীঘি থানা সদরে বিজয়ের পতাকা উড়িয়ে আদমদীঘি থানা সদরকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এর দুইদিন পর ১৪ ডিসেম্বর সান্তাহারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন তীব্রতার কারনে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে টিকতে না পেরে পাক-হানাদার বাহিনী নওগাঁ অভিমুখে পালিয়ে যাওয়ায় সান্তাহার জংশন শহর মুক্ত হয় ১৪ ডিসেম্বর। মহান স্বাধীনতার পুর্ব মুহুর্তে পাকসেনারা আদমদীঘির শ^শানঘাটিতে চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শারীরিক নির্যাতনের পর প্রকাশ্যে গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যাসহ দীর্ঘ ৯ মাসে এই উপজেলায় ২৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাবিল উদ্দিন, তহির উদ্দিনসহ অনেকের দাবী ১২ ডিসেম্বর আদমদীঘি সদর হানাদান মুক্ত দিবসটি পালন করে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধে এই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা প্রায়োজন। 

Tag
আরও খবর