বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র শহর কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এবার ঈদে আশাহত হয়েছেন। তারা আশা করেছিলেন, ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে শতভাগ না হলেও ৬০ শতাংশ পর্যটক ভ্রমণে আসবেন। সেই আশাও পূরণ হয়নি তাদের। ছুটির তিন দিনে প্রতিদিন পর্যটক এসেছেন ৪০ শতাংশেরও কম। তারপরও ভ্রমণে আসা পর্যটক, কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের আনা-গোনায় সমুদ্রসৈকতে দেখা মেলে আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সি গাল, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দেখা মেলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের। সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা, কিটকটে (বিচ ছাতা) বসে সাগর উপভোগ, সমুদ্রের নোনাজলে শরীর ভাসানো, বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক ও ঘোড়ার পিঠে চড়ে নিজের মতো ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন এসব মানুষ। আবার অনেকেই এসব প্রিয় মুহূর্ত বন্দি করছেন ক্যামেরায়।
সৈকতে নিয়োজিত জেলা প্রশাসনের কর্মী বেলাল হোসেন জানান, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈকতে অনুমানিক ৪০ হাজারের কাছাকাছি মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। যার মধ্যে অধিকাংশই পর্যটক। অন্যরা কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা।
কক্সবাজার ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বেলাল আবেদীন ভুট্টো বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ঈদ শুরু হয়েছে। ঈদের দিন পর্যটকের উপস্থিতি ছিল ১৫ শতাংশের মতো। শুক্রবার তা বেড়ে ২৫-৩০ শতাংশ হয়েছে। শনিবার আরও একটু বেড়ে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি এসেছে। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে পর্যটকের উপস্থিতি খুব বেশি থাকে না। তবে ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, ৫০-৬০ শতাংশ পর্যটক আসবেন। কিন্তু সেই আশাও পূরণ হয়নি। স্বাভাবিক ছুটিতে এর চেয়ে বেশি পর্যটক কক্সবাজার আসেন।
তবে ৫ ও ৬ জুলাই পর্যটক আগমন আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান।
তিনি জানান, গতকাল পর্যন্ত আবাসিক প্রতিষ্ঠানের বুকিং ৪০ শতাংশের নিচে। এবার ঈদে এটা আশাহত পরিস্থিতি। তারপরও আগত পর্যটকদের সাগরে গোসলসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম।
তিনি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, কলাতলীর আবাসিক জোন ছাড়াও পর্যটন স্পট ইনানী, হিমছড়ি, পাথুরে সৈকত পাতুয়ারটেকসহ অন্যান্য স্পটে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। গত ৩ দিনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
৪ দিন ৮ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৫ দিন ৯ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৬ দিন ৭ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৭ দিন ১০ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৮ দিন ১২ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৮ দিন ১৭ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১০ দিন ১৪ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১৩ দিন ১০ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে