কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের উভয়পাশে ফুটপাত দখলে নিয়ে প্রতিদিন বেচা-বিক্রি চলছে শতাধিক অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্মিত ও নির্মাণাধীন ফুটপাতের উপরেই বসেছে ফলমূলের দোকান,শাকসবজি ও কাঁচা মাছের ঝুড়ি। গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ছুলামুড়ির দোকান, চায়ের দোকান,পানের দোকান সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের ভ্যান।
বিশেষ করে শহরের বাজারঘাটা ফলের দোকানের সম্মুখে, মসজিদ মার্কেট সড়কের প্রবেশমুখ,বড় বাজার সড়কের প্রবেশমুখ,পানবাজার সড়কের প্রবেশমুখ, আপন টাওয়ারের প্রবেশমুখে সকাল সন্ধ্যা অস্থায়ীভাবে ফল ও মাছ বেচাবিক্রি হয়ে থাকে।
পথচারীদের চলার পথে এমন অস্থায়ী ও অবৈধ দোকান বসার ফলে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। চলাচলে সংকীর্ণ হওয়ায় রাস্তার উপরে যানবাহন জ্যামে আটকা পড়া এবং পথচারীদের সড়ক দূর্ঘটনার আশংখ্যার কথা জানায় যাত্রীরা।
অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বীমা অফিসের এক কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন জানান, “ফুটপাত দখলে নিয়ে প্রতিদিন এভাবে রাস্তার উপর মাছ, ফলমূল বিক্রি করে শহরকে বিশ্রি করে তুলেছে। এছাড়া জ্যাম ও হাটাচলায় প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করছে এরা।”
গাড়ি চালক আজিজ বলেন, “উভয়পাশের ফুটপাতে দোকান বসে যাওয়ার কারণে গাড়ি নিয়ে বাজারঘাটা বা অফিস আদালতে আসা যাওয়াতে আমাদের দীর্ঘ সময় ও দূর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় প্রতিদিন।”
এব্যাপারে অস্থায়ী মাছ ও ফল বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা তাদের পেছনের দোকানদারকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট হাসিল প্রদানের মাধ্যমে বসার অনুমতি নেন বলে জানান।
এব্যাপারে কক্সবাজার আদালতের এক আইনজীবী রাজিবুল হক চৌধুরী জানান, “জনগণের হাটার পথ ও সরকারি ফুটপাত দখলে নিয়ে যেকোনো কাজ করা বেআইনী। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে প্রশাসনের তদারকি ও অভিযান রীতিমতো না রাখার কারণে পথের ধারে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করে যত্রতত্র দোকান বসিয়ে শহরে অশান্তি তৈরি হচ্ছে।”
শহরজুড়ে গড়ে উঠা শতাধিক অস্থায়ী ও অবৈধ ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রশাসনের অভিযান প্রতিদিন না করলে সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের সুফল ভোগ করা অসম্ভব বলে মনে করছেন সচেতনমহল।
৪ দিন ১৫ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৬ দিন ১৫ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৭ দিন ১৭ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৮ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৯ দিন ৪৪ মিনিট আগে
১০ দিন ২২ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১৩ দিন ১৮ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে