গড়ভাংঙ্গা-বাটবিলা গ্রামীণ রাস্তাটি বেহাল দশা। সংস্কারের অভাবে জনোদূর্ভোগ দেখার কেউ নেই। পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদ। ইটের সলিং থাকলেও মাঝে মাঝে গর্ত হয়ে পড়েছে। যারফলে এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর।
উপজেলার গড়ভাংঙ্গা-বাটবিলা গ্রামীণ রাস্তাটি অনেক জনবহুল। প্রায় ০৩ কিলোমিটার এই রাস্তটি দিয়ে ১৮ টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মনিরামপুর যেতে হয়।
রাস্তার দুই পাশ দিয়ে মাছের ঘের। রাস্তা ছাড়া উঁচু করে মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ। গড়ভাঙ্গা বাজার ঈদগাহ হতে বাটবিলা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলো মিটার রাস্তা দিয়ে (কেশবপুর- মনিরামপুর) দুই উপজেলার
মানুষ চলাচল করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তার উপর ৪ থেকে ৫ ফুট পানি জমে বদ্ধ হয়ে পড়ে। দুই পাশে মৎস্য ঘেরের উঁচু বেড়িবাঁধ পানি সরার ব্যবস্থা নেই। নৌকায় করে পারাপার হতে হয়। রাস্তার ইটের সলিং উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে পড়েছে।
রাস্তার পার্শ্ববর্তী বসবাস কারি অনেকেই জানান, আমাদের রাস্তা চলাচল উপযোগী নয়বলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভালো কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াতে পারছি না। নিকটেই যতটুকু পারে পড়ে। তরপর আর যেতে চায় না। সেই কারণে আমরা যুগ হিসেব পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের কেশবপুরের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি শাহীন চাকলাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো যদি তিনি তাঁর সংসদীয় এলাকার এই অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য রাস্তাটি সংস্কার করেদেন।
সাবেক স্থানীয় ইউপি সদস্য জি,এম নুরুল ইসলাম (খোকন) বলেন, কয়েকবার রাস্তাটি মেপে গিয়েছে কিন্তুু কোন কাজ হয়নি। প্রায় দুই যুগ আগে রাস্তাটি সলিং করা বর্তমানে রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি জনবহুল এলাকার স্বার্থে রাস্তাটি কার্পেটিং প্রয়োজন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামকে শহরের রুপে রুপান্তরিত করার লক্ষে কাজ করে চলেছেন। সেই সময় গ্রামীন এই জনপদের রাস্তাটি অবহেলিত।কর্তৃপক্ষের অবহেলা কারণ বলছেন এলাকাবাসী।
পত্রিকা বিক্রেতা অলোক বলেন, আমার বাড়ি এই এলাকায় কেশবপুর থেকে প্রতিদিন আমি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা নিয়ে এই এলাকায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি মানুষের পত্রিকা পড়ার চাহিদা পূরণ করি। কিন্তুু রাস্তার যে অবস্থা সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে চায়না পত্রিকা আনতে কেশবপুরে যায়। আমরা চরম অবহেলিত। রাস্তাটি কার্পেটিং ও সংস্কার করার কোন উদ্দ্যোগ নেই।
এলাকার জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। এলাকার অসুস্থ রোগী চিকিৎসকের কাছে নিতে হলে বিষেশ করে গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। এই রাস্তায় রোগী বহন করা গাড়ি আসতে চায় না। যারফলে কিছু করার থাকে না।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সায়ফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, গড়ভাংঙ্গা ঈদগাহ হইতে বাটবিলা রাস্তাটি বেহাল অবস্থা আমি নিজে রাস্তা মেপে আসছি। রাস্তা কার্পেটিং এর জন্য স্কিমও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
১৬ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
১ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
২ দিন ১ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
২ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
২ দিন ১৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
৪ দিন ১৬ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৬ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে