রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে স্থানীয় সাংসদের আস্থাভাজন, আদর্শিক, জনপ্রিয় ও তরুণ নেতৃত্বের অহংকার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাসার সুজনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের হেতু কি জানতে চাই তৃণমূল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকরা।
এমনকি এই প্রোপাগান্ডা কার স্বার্থে ছড়ানো হচ্ছে বলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, তানোর পৌর আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ছিলো মেরুদন্ডহীন নড়বড়ে। স্থানীয় সাংসদ নড়বড়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে পরিচ্ছন্ন নতুন মুখ সুজনকে মাঠে নামায়। এদিকে সাংসদের আহবানে সাড়া দিয়ে সুজন মাঠে নামেন এবং দুর্বল আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করে তোলেন। যার ফলশ্রুতিতে তানোর পৌরসভা সৃষ্টির পর প্রথম বারের মতো আওয়ামী লীগের মেয়র নির্বাচিত হয়। অথচ সুজন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কোনো পদে নাই, দল, নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি পকেটের পয়সা বিনিয়োগ করে দলকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন, কখানোই নিজের কথা বলেননি। স্থানীয় সাংসদের দিকনির্দেশনায় তিনি তানোর পৌর আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছেন এবং পুরো উপজেলার তরুণ সমাজের মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে আওয়ামী লীগমূখী করেছেন। অথচ এমন স্বজ্জন একজন মানুষের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
জানা গেছে, তানোরের শান্তিপ্রিয় ও সহাবস্থানের রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ করেই উত্তাপ ছড়িয়েছে জনমনে দেখা গেছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। স্থানীয় একটি অশুভ চক্র সাংসদের কাছে থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। এরা সরাসরি সাংসদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে কৌশলে সাংসদের অনুগত ও বিশস্ত নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে মুলত সাংসদকেই বির্তকিত করছে। অশুভ চক্রের উদ্দেশ্যে সাংসদের অনুগত ও বিস্তত্ব কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে একে একে তাদের সরিয়ে সাংসদকে একা করে তার নাম ভাঙিয়ে বাণিজ্য করে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, অশুভ চক্রের প্রথম টার্গেট সাংসদের অনুগত ও বিশস্ত সৈনিক বিশিষ্ট সমাজসেবক, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও তরুণ নেতৃত্বের আইডল আলহাজ্ব আবুল বাসার সুজন। সুজনকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত হয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, সামনে সাধারণ নির্বাচন এবং এই নির্বাচন একটা অগ্নি পরীক্ষা। সাংসদ এই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে তার যে রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করা দরকার সেটা করবেন। আবার দলের ঐক্য ও তার নেতৃত্ব ধরে রেখে দলের বিজয় ঘটাতে যখন যাকে যেখানে রাখা প্রয়োজন মনে হবে তিনি তখন তাকে সেখানে রাখবেন। সাংসদের প্রধান টার্গেট তরুণ ভোটার, সেই লক্ষ্যে তিনি তরুণ নেতৃত্ব আবুল বাসার সুজনকে মাঠে নামিয়েছেন। তার উদ্দেশ্যে তরুণ ভোটারদের মাঝে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও অর্জন তুলে ধরে নৌকার পক্ষে নিয়ে আশা।
আবুল বাসার সুজন মাঠে নেমে মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জা, রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে আর্থিক অনুদান, যুবকদের মধ্যে খেলা-ধুলার সামগ্রী বিতরণ ও ব্যক্তিগত সাহায্যে-সহযোগীতা যা কিছু করছেন তা সাংসদের পক্ষ থেকে।
তিনি কখানো নিজের কথা বলেননি, সব সময় বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষ থেকে তার এসব ক্ষুদ্র প্রয়াস। অথচ অশুভচক্র প্রচার করছে এমপির বিভিন্ন ব্যাংকে ২০ কোটি টাকা ঋণ আছে সেটা পরিশোধের নামে সুজন কোটি কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করছেন।
আবার কখানো বলছে ৬০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করছে, সুজন যেখানে কাউকে নিয়োগ দিলো না সেখানে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করলো কিভাবে। এছাড়া সুজন কি নিয়োগ দেবার মালিক যদি সেটা হয় তাহলে এতোদিন নিয়োগ দিয়েছেন কে ? আবার ৮০ দশকের সিআইপি এমপি ফারুক চৌধুরী চার দশক পরে বিশ কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত এটা কি বিশ্বাসযোগ্য না তার নামের সঙে মানায় ? আসলে তাদের টার্গেট তো সুজন নয় টার্গেট এমপি, তাই সুজনকে জড়িয়ে এমপিকে বির্তকিত করার অপচেষ্টা। সুজন যদি অপরাধী হয় সে দায় সুজনের এখানে এমপিকে জড়ানোর কি আছে। এছাড়াও সুজনের যদি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ সেটা তুলে ধরে প্রচার করা হোক।অন্যদিকে সুজনের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যাচার করায় জনমনে চরম অসন্তোষ সৃস্টি হয়েছে। তৃণমুল মানুষের ভাষ্য, যেভাবে হোক আর যে কারনেই হোক সুজনের মাধ্যমে প্রতিদিন কিছু মানুষতো উপকৃত হচ্ছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে কার স্বার্থে। আর সুজন তো কখানো তাঁর জন্য ভোট চাইনি তিনি সব সময় বলেছেন উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে প্রতিটি নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
তাদের আশঙ্কা সুজন মানুষের মন জয় করে এভাবে রাজনীতি করলে তানোরের মাটিতে তাদের দাঁড়ানোর স্থান থাকবে না এবং এমপির নাম ভাঙিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন করা হবে না।
এমনকি ইতমধ্যে অনেকের একচ্ছত্র আধিপত্যর অবসান হতে চলেছে। এমন আশঙ্কা থেকেই তাদের সুজনবিরোধী প্রচারণা।
২ দিন ৯ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৩ দিন ৪ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৯ দিন ১৪ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
১০ দিন ৭ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১১ দিন ২ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১২ দিন ৮ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
১২ দিন ৮ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১২ দিন ৮ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে