আদমদীঘিতে ৭ শ্যালোর পাম্প চুরি, দিশেহারা কৃষক ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল মাদকের বিরুদ্ধে খোকসার ওসির জিরো টলারেন্স ঘোষণা সুন্দরবনের ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক: জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার। প্রিয়জন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন আশাশুনিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা ছাত্র নেতা শামীমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সংবাদ সম্মেলন আশাশুনিতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার আভাস প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর মহাসমাবেশের ডাক দিল হেফাজতে ইসলাম একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন ১৯ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা গরমে ত্বকের যত্নে উপকারী উপায় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের পর ইসিকে নির্বাচনী কাজ শুরুর আহ্বান এনসিপির রাজবাড়ীতে ওটিপি প্রতারণায় ৮ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ। রাজবাড়ীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির আত্ম প্রকাশ ও নবীন বরণ

মা-বাবার বিশ্বাস

একটি ছেলে ছিল, মা-বাবা ভালোবেসে তার নাম রেখেছিল অনু। প্রতি বছর গরমের ছুটিতে তার মা-বাবা তাকে তার দাদুর বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যেতেন। দাদু থাকতেন দেশের বাড়ি; অনেকটা দূর, তাই ট্রেনে করে যেতে হত।
এক বছর গরমের ছুটিতে বেড়ানোর তোড়জোড় চলছে; অনু বলল, বাবা, আমি তো এখন যথেষ্ট বড় হয়েছি, আর তোমাদের যাবার দরকার নেই। আমি একাই যেতে পারব। বেশ খানিকক্ষণ আলোচনার পর ঠিক হল, এবার অনু একাই যাবে, তার বাবাকে আর অফিস কামাই করে তাকে পৌঁছে দিতে হবে না।
অনুকে জানলার ধারের সিটে বসিয়ে বাবা প্ল্যাটফর্মে নেমে এলেন। অনু বলল, তোমরা চিন্তা কোরো না, আমি ঠিক পৌঁছে যাব।
ট্রেন যখন ছাড়ব-ছাড়ব করছে, অনুর বাবা তার জামার পকেটে একটা কিছু গুঁজে দিলেন। দিয়ে বললেন, যদি রাস্তায় ভয় পাস বাবা, এই জিনিসটা বার করে দেখিস।
ট্রেন ছেড়ে দিল, অনুর জীবনে এই প্রথমবার যে সে একেবারে একা। সঙ্গে মা-বাবা নেই, দরকার পড়লেও তাদের সাহায্য এখন পাওয়া যাবে না। অস্বস্তি কাটাবার জন্য জানলার বাইরে মন দিল সে। পৃথিবীর নানা রঙের টুকরো টুকরো ছবি সেখানে ছিটকে ছিটকে পেরিয়ে যাচ্ছে। কখনও দেখা গেল একলা কৃষক আনমনে পথ হেঁটে চলেছে তার হাল আর বলদ নিয়ে, কখনও দেখা গেল আকাশের বুকে আলপনা এঁকে উড়ে চলেছে একসারি বলাকা, আবার কখনও বা সূর্যকে আড়াল করা মেঘের ফাঁক-ফোকর দিয়ে ঠিকরে বেরোচ্ছে একফালি রোদ।

এইভাবে অপরাহ্ন পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এল। ট্রেনের ভেতর লোকজনের হট্টগোল, হকারদের যাওয়া-আসা, চিৎকার-চেঁচামেচি ক্রমশ স্তিমিত হতে লাগল। অনুর জানলার আকাশে এখন চাপ চাপ অন্ধকার শুধু। সেই মুহূর্তে নিজেকে খুব একা মনে হতে লাগল অনুর। ভাবল, এইভাবে জিদ করে একা না এলেই বোধহয় ভালো হত। মুখ ঘুরিয়ে সবাইকে দেখতে লাগল সে। সবাই কেমন যেন চুপচাপ, উল্টোদিকের যে লোকটা মাঝেমাঝেই তার দিকে তাকাচ্ছে, তার মুখে যেন একরাশ শূন্যতা! ওদিকে কয়েকটা ষন্ডামার্কা লোকজন, কী তাদের মতলব ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এবারে অনু বেশ ভয় পেয়ে গেল, জানলার কোণটায় আরও গুটিয়ে গেল সে। হে আল্লাহ, এ রাত কতক্ষণে শেষ হবে! গলা শুকিয়ে এল তার, হাত-পা কাঁপতে লাগল, চোখের কোণটা জলে ভরে এল, রুমাল বার করে কপালের ঘাম মুছল বারকয়েক।
হটাৎ অনুর মনে পড়ল, বাবা না জানি কি একটা তার পকেটে গুঁজে দিয়েছিলেন শেষমূহূর্তে! কোনোরকমে কাঁপা কাঁপা হাতে পকেট থেকে বার করে নিয়ে এল সেটা। এক টুকরো কাগজ, আর তাতে লেখা, *ভয় পাস না বাবা, আমি তোর পাশের কম্পার্টমেন্টেই আছি।*
আমাদের জীবনের ট্রেনটিও ঠিক এইভাবেই ছুটে চলেছে। যখন আল্লাহ আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠান, তিনি আমাদের পকেটে এক টুকরো কাগজ এইভাবেই গুঁজে দিয়েছেন। তাতে লেখা আছে *আমি তোমাদের সঙ্গেই চলেছি, তোমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই আছি, শুধু একবার ডাক দিও, দেখবে তোমাদের পাশেই আমি দাঁড়িয়ে আছি।*
তাহলে আর চিন্তা কী! শুধু বিশ্বাস করো, শুধু একবার প্রাণভরে ডাকো, আর দেখবে, তিনি দু-হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর মুখে একরাশ ভুবন ভোলানো হাসি আর এক জোড়া ক্ষমাসুন্দর চোখ! তাহলে আর কীসের ভয়! কীসের দুশ্চিন্তা! কীসের এত ভাবনা!
Tag
আরও খবর


বাঘায় এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

৯ দিন ১৭ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে