শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কাংশা গ্রামের ইমান আলী ওরুফে ফেকাসু হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারভুক্ত আসামীদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। উল্টো আসামী পক্ষের লোকজন আপস নিষ্পত্তি ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে ফেকাসুর পরিবারকে। আসামিদের গ্রেফতার ও স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত ইমান আলী ওরুফে ফেকাসুর স্ত্রী কমেলা বেগম, ভাই শামছুল হক ও আব্দুল লতিফসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ। সংবাদ সম্মেলনে নিহত ফেকাসুর মেয়ে ঝুমা আক্তার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় নিহতের স্ত্রী, ভাই, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে নিহতের মেয়ে অভিযোগ করেন, গত ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের বাড়ীতে যাওয়ার জন্য তার বাবা বাড়ী থেকে বের হয়। এসময় কাংশা বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে যাওয়া মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রধান আসামী আব্দুর জুব্বারসহ ২৫/৩০ জন লোক প্রকাশ্য দিবালকে দা, কুচা, ফালা, কুড়াল, লাঠি-সোঠা দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। যা তাৎক্ষণিক ভাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৮জন আসামীকে গ্রেফতার করে। ওইদিনই ফেকাসুর স্ত্রী কমেলা বেগম ঝিনাইগাতী থানায় ২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আর কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওইদিনই ৪ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলাসহ ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারনামীয় বাকী আসামীগণ পলাতক রয়েছে। তবে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
৩ দিন ১০ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৩ দিন ১২ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৩ দিন ১৩ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৪ দিন ১০ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৪ দিন ১১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৪ দিন ১১ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে