অনৈতিকভাবে লিজের অভিযোগ রেলওয়ে কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে যারা গুপ্ত রাজনীতি করে তাদের জন্য শুভকামনা নেই, ছাত্রদল সভাপতি আক্কেলপুর মেলায় পুতুল নাচের নামে অশ্লীলতা গুডিয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন. লালপুরে শিবিরের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। ব্যাংক বন্ধ হবে না, ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে একীভূতকরণ: গভর্নর সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের গোলাগুলি, উত্তেজনা জনগণের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নির্ঘুম থেকে কাজ করছে’ গাজীপুর জেলা আওতাধীন শ্রীপুর উজেলার সমমনা ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিতঃ পরিবহন কাউন্টারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল কোর্ট অভিযান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাতীবান্ধা উপজেলা শাখার উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী প্রয়াত জাতীয় সংসদ সদস্য- মরহুম মির্জা মোরাদুজ্জামান স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন সুন্দরবনের মধু আহরণ মৌসুম শুরু চৌদ্দগ্রাম ছুফুয়া ছফরিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসায় এ্যালেম নাই এ্যাসোসিয়েশন বাস্তবায়ন লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আপন ভাই ও ভাইয়ের পরিবারের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঈদের দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত লোহাগাড়ায় খুটির সাথে ধাক্কা লেগে বাইক আরোহীর মৃত্যু। লালপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলির ঘটনায় বিএনপির বিক্ষোভ অভয়নগরে দিয়াপাড়ায় ঈদ মেলায়,ফুচকা খেয়ে ১৫০ জন অসুস্থ শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন আয়োজনে জামায়াতের ঈদ উদযাপন ফাঁকা রাজধানী: যানজটহীন ঢাকা যেন এক অচেনা শহর!

৬২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঐতিহাসিক সরকারি বাঙলা কলেজ।

বাঙলা কলেজ নামটি শুনলেই আমাদের মনে যে দিকটি দোলা দেয় তা হলো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালিরা যে সংগ্রাম করেছিলেন তা ই বিশ্বের বুকে মাতৃভাষা আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। বাংলা ভাষার জন্যে রক্তদানের কারণে যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তারিখে। মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছিলেন সে সময়ের দেশ ও ভাষা প্রেমিক শহীদ রফিক,সালাম,বরকত,শফিউর, আউয়াল সহ আরো অনেকে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালিরাই প্রথম নজির হিসেবে দেখিয়েছিল। এই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত এমনই একজন দেশ ও ভাষা প্রেমিক তমুদ্দিন মজলিশের ( ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ) স্থপতি পৃন্সিপাল আবুল কাসেম। ১৯৬২ সালের ১ লা অক্টোবর তারিখে তিনি বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাঙালির জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা ও বাংলাকে সকল পর্যায়ের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তিনি এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এই কলেজের সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক পৃন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ এবং পৃন্সিপাল ( অধ্যক্ষ ) ছিলেন ভাষা সৈনিক, তমুদ্দিন মজলিশের অন্যতম সংগঠক দেশবরেণ্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাসেম। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হায়েনারা কলেজটিকে বদ্ধভূমিতে ( বর্তমানে চিহ্নিত ) পরিণত করে রাখে এবং বাঙলা কলেজের সাইনবোর্ড নামিয়ে উর্দু কলেজ নামে সাইনবোর্ড স্থাপন করে। যদিও পূর্ব থেকেই বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা পশ্চিমা শাসকেরা ভালো ভাবে নেয়নি। ১৯৮৫ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে অধ্যাপক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন কলেজটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজটি রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ২৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৩ টি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। কলেজটিতে ত্রিশ হাজারের উপরে শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজটিতে দুইটি ১০ তলাসহ মোট ৮ টি ভবন রয়েছে। এবং ছাত্রদের থাকার জন্য ২ টি ছাত্রাবাস ও যাতায়াতের জন্য বর্তমানে ২টি বাস রয়েছে। লাইব্রেরী,অডিটোরিয়াম,বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্টসহ ছাত্র-ছাত্রীদের সংস্কৃতি চর্চার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মাধ্যম ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন। ইতিহাস আশ্রিত এই বাঙলা কলেজের নীতিবাক্য হলো 'হে প্রভু আমাকে জ্ঞান দাও'। 


আরও খবর


সরকারি বাঙলা কলেজে "বাঙলার ৬২" উদযাপন।

১৮২ দিন ১৩ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে