বাড়ল সোনার দাম বগুড়া উদীচীতে হামলার প্রতিবাদে সারিয়াকান্দি উদীচীর বিক্ষোভ শ্যামনগরে দুইদিন ব্যাপী শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ইবির নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি মেহেদী, সম্পাদক ফেরদৌস জনগণের রায় ছাড়া দেশ পরিচালনা করার অধিকার কারো নাই: প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন শ্রীমঙ্গলে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর কমিটি গঠন পীরগাছায় জিয়া পরিষদ আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভা পি.এল সংকট মোকাবেলায় মাটির পুকুরে চাষের প্রশংসা অতিরিক্ত সচিবের চট্টগ্রাম বন্ধন লিও ক্লাবের কমিটি গঠিত মানব পাচার প্রতিরোধে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের প্রতিনিধিদের কর্মশালা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিমকালে জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী - ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে লালপুরে জামায়াতের ভোট কেন্দ্র পরিচালকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত. মোংলায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কোস্ট গার্ডের ওয়ার্কশপ ও স্লিপওয়ে উদ্বোধন ভারতের সঙ্গে পুশইনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে,মোংলায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাভাবিপ্রবিতে “ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত চা শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে পালানো মালিকদের খুঁজে এনে বেতন আদায়ে কড়া বার্তা দিলেন শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ৫ দফা দাবিতে সুনামগঞ্জে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এর শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের অভিযানে ৩০০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার ঈদের আগে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন

সরকারি বাঙলা কলেজে "বাঙলার ৬২" উদযাপন।

সরকারি বাঙলা কলেজের ৬২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে "বাঙলার ৬২" শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করে কলেজটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নানা আয়োজন আর আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে দিনটিকে উপভোগ করেন কলেজের সাবেক-বর্তমানরা। উল্লেখ্য যে, ১৯৬২ সালের ১লা অক্টোবর তমুদ্দিন মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আবুল কাশেমের হাত ধরে সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। 


সকাল দশটার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে এ-র আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের কবর জিয়ারত, চব্বিশের কোটা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ এবং মোনাজাতের মাধ্যমে তাঁদের জন্য দোয়া করা হয়। 


অনুষ্ঠানের একটি অংশজুড়ে ছিল ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানপর্ব। এই পর্বে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় কলেজ প্রশাসন।


একদিকে "কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী" অন্যদিকে  "অ্যাশেজ ব্যান্ডের" আগমনকে কেন্দ্র করে দর্শকের ঢল নামে। সেই ঢলের একেকটি ফোঁটা হয়ে কলেজের নবীন-প্রবীনেরা ছুটে আসে দেশের নানা জায়গা থেকে। "বাঙলার ৬২" অনুষ্ঠানে চোখ ধাঁধানো দর্শক আর মন মাতানো আয়োজনে যেন নতুন ভাবে উজ্জীবিত হয়ে উঠে কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থী। 


এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বড় কোনো আয়োজন করা হয়েছে। এই "বাঙলার ৬২" অনুষ্ঠানে এসে আমরা শিক্ষার্থীরা গর্বিত অনুভব করছি। যারা আসে নাই তাঁরা অনেক বড় কিছু মিস করেছে। এরকম আয়োজন সামনে আরো হবে বলে আমরা আশাবাদী। 


আয়োজক কমিটির সাথে কথা বললে দৈনিক দেশচিত্রকে জানায়, "বাঙলার ৬২" অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র কলেজের সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়। যেন বহিরাগত কেউ সহজেই প্রবেশ করতে না পারে। সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অতিথিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং স্থানীয় আরও দুইটি থানা থেকে পুলিশের অনেকগুলো টিম আমাদের সাথে আছে। তাছাড়াও বিএনসিসি,রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে শৃঙ্খলা রক্ষা করা হয়েছে। 


  উক্ত অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ নিয়াজ আহমেদ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।


প্রধান অতিথির আগমনের পর বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট মিলে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিকে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল এবং ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। 


প্রধান অতিথির ভাষণে ঢাবি উপাচার্য বলেন, "বাঙলা" নামটির মধ্যে ইতিহাস ঐতিহ্য এবং জাতীয়তাবাদী একটি চেতনা আছে। এই বাঙলা কলেজ দেশের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান; তথা এটি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের প্রতিষ্ঠান। এর ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে হবে। 

সাত কলেজ নিয়ে তিনি আরও বলেন, সাত কলেজের সমস্যাটি একটি পুঞ্জীভূত সমস্যা। সমস্যা গুলোকে রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়।ধীরে ধীরে এর সমাধান করা হবে। 


এছাড়াও মাউশির ডিজি অধ্যাপক রেজাউল করিম কলেজের ইতিহাস এবং সৌন্দর্য নিয়ে বলেন, ঢাকার কলেজগুলোর মধ্যে "বাঙলা কলেজের" উন্মুক্ত ক্যাম্পাস, প্রকৃতিঘেরা মনোরম পরিবেশ আমাকে বিভূবিত করে। এই কলেজে শিক্ষকতা করতে পারলে আমি গর্বিত অনুভব করতাম।


কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের ছেলে- মাহমুদ বিন কাশেম দেশচিত্রকে বলেন, প্রতিষ্ঠা কালীন সময় থেকে বাংলাদেশে "বাঙলা কলেজের" অবদান অনেক। ভাষাবিদ ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, অধ্যাপক আবুল কাশেম এবং প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ সহ আরো কয়েক জনের সভায় এই কলেজটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাংলাদেশে একটি বাঙলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ এবং বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করার জন্য "বাঙলা কলেজ" প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। "বাঙলা কলেজ" যখন প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন উচ্চশিক্ষায় বাংলা কোনো পাঠ্যপুস্তক ছিল না। বাঙলা কলেজের উদ্যোগে তখন ৪০ টি পাঠ্যপুস্তক রচনা এবং দুই হাজারের বেশি পরিভাষা তৈরি করা হয়। অন্যান্য অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি এটিকে বাঙলা বিশ্ববিদ্যালয় করার পাশাপাশি উন্নত গবেষণাগার বানানোর জন্য সরকারের নিকট আহ্বান জানান। 

আরও খবর


সরকারি বাঙলা কলেজে "বাঙলার ৬২" উদযাপন।

২২৭ দিন ১৮ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে






নবীনদের আগমনে উচ্ছ্বসিত সরকারি বাঙলা কলেজ।

৫৯২ দিন ১৪ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে