বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে লাশের গন্ধ,ভারী হয়ে হয়ে মুক্ত বাতাস।এখনো যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে হাসপাতাল গুলোতে শিক্ষার্থীরা,স্বজনদের আহাজারি,বহন করতে পারছে না চিকিংসার ব্যয়ভার।এদিকে দাবি আর দাবি; আমার ভাই-বোনদের রক্তাক্ত তনু কি কাঁদাচ্ছে না তোমাদের...?
না ১৫ বছরে পাথর ও পাষাণ হয়ে গেছেন...?
শিক্ষক বলে বাকস্বাধীনতা নাই,ডাক্তার বলে বাকস্বাধীনতা নাই, রাজনৈতিক দলগুলো বলে বাকস্বাধীনতা নাই,শিক্ষার্থীরা বলে বাকস্বাধীনতা নাই,সাংবাদিক বলে বাকস্বাধীনতা নাই, পুলিশ বলে বাকস্বাধীনতা নাই, গ্রাম পুলিশ বলে বাকস্বাধীনতা নাই, তাহলে এই বাকস্বাধীনতার জন্য হলেও আরো আগেই একজোট হয়ে আন্দোলন করা উচিৎ ছিল।
যেখানে স্বজন হারানোর আর্তনাদ,একমাত্র নির্ভরশীল ছেলেটির অনুপস্থিতি, চিরদিনের জন্য পঙ্গু, পূরণ হচ্ছেনা সুন্দর পৃথিবী দেখার স্বাদ কিংবা যেখানে টিয়ারগ্যাস ও আমার ভাই-বোনের রক্ত এখনো সবুজে লেগেই আছে, সেখানে তাদের চিন্তা উপেক্ষা করে দাবি নিয়ে ব্যস্ত কিছু মহল।
বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছেন, দাবি তুলে ধরবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ধৈর্য্য ধরে কিছুদিন পর করলেই ভালো হতো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাবেক সরকারের কাছে ক্রমান্বয়ে ৯ দফা দাবি তুলে ধরে-
ছাত্রদের ৯ দফা দাবি সম্পর্কে যে যে জানেন না দেখে নিন দাবি গুলো কি কি
দাবিগুলো হলো—
১) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্র-নাগরিক হত্যার দায় নিয়ে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
২) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দলীয় ক্যাডার ও সন্ত্রাসী কর্তৃক ছাত্র-নাগরিক হত্যার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে পদত্যাগ করতে হবে। ইন্টারনেট শাটডাউন করে দেশে ডিজিটাল ক্রাকডাউন করায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে পদত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শহিদ শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে ‘ড্রাগ এডিক্ট’ বলে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে এবং আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করায় তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে পদত্যাগ করতে হবে।
৩) ঢাকাসহ সারাদেশে যত ছাত্র-নাগরিক শহিদ হয়েছে সেখানকার ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছে ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি এবং প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।
৫) যে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও সেনা সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ যে সকল সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা পরিচালনা করেছে এবং যেসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের নিরস্ত্র ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে, তাদের আটক করে হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।
৬) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসী সংগঠনসহ সব লেজুরবৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে দ্রুততম সময়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাত্র সংসদ কার্যকর করতে হবে।
৭) দেশব্যাপী যেসকল ছাত্র-নাগরিক শহিদ এবং আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
৮) অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হলগুলো খুলে দিতে হবে। সেই সঙ্গে কারফিউ তুলে নিয়ে সারাদেশের সব ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সোয়াট এবং আর্মি তুলে নিতে হবে।
৯) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না এই মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে। ইতোমধ্যে গণগ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানির শিকার সমন্বয়কবৃন্দ ও ছাত্র-নাগরিকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
পরবর্তীতে এই আন্দলোন সরকার পতন বা ১ দফায় গড়ায় এবং গনঅভ্যুত্থানের মধ্যেদিয়ে হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
মাসুম বিল্লাহ
লেখক ও সাংবাদিক
২৪ দিন ১৪ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৩১ দিন ১৯ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৫৩ দিন ২২ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৭১ দিন ২০ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৯১ দিন ২০ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৯৩ দিন ৭ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৯৪ দিন ৭ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৯৯ দিন ২০ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে