আদমদীঘিতে ৭ শ্যালোর পাম্প চুরি, দিশেহারা কৃষক ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল মাদকের বিরুদ্ধে খোকসার ওসির জিরো টলারেন্স ঘোষণা সুন্দরবনের ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক: জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার। প্রিয়জন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন আশাশুনিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা ছাত্র নেতা শামীমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সংবাদ সম্মেলন আশাশুনিতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার আভাস প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর মহাসমাবেশের ডাক দিল হেফাজতে ইসলাম একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন ১৯ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা গরমে ত্বকের যত্নে উপকারী উপায় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের পর ইসিকে নির্বাচনী কাজ শুরুর আহ্বান এনসিপির রাজবাড়ীতে ওটিপি প্রতারণায় ৮ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ। রাজবাড়ীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির আত্ম প্রকাশ ও নবীন বরণ

কক্সবাজার জেলায় ৩৪৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

প্রধান শিক্ষক সংকটে জেলার প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা। প্রধান শিক্ষক সংকটের কারণে ১১ বছর যাবৎ গুনগতমান সম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসি। আইনি জটিলতার ফলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকার কারণে জেলায় ৩৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে জেলায় ২৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরপর কেটে গেছে ১১ বছর। এছাড়া জেলায় সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৩৫২টি। ফলে প্রাথমিক শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার সাড়ে ২০ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী। সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বাস্তবমুখি নানা পদক্ষেপ গ্রহন করলেও প্রধান শিক্ষকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ পূরণে ১০ বছর যাবৎ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৬৫৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪৯টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। জেলার ১৯০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের পদ চালানো হচ্ছে ' চলতি দায়িত্ব' দিয়ে। অথচ পদোন্নতি যোগ্য শূন্য পদ রয়েছে ৩৪০টি। এছাড়া শূন্য রয়েছে ৩৫২টি সহকারি শিক্ষকের পদও । উপজেলা ভিত্তিক প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের পরিসংখ্যান হলো-কক্সবাজার সদর উপজেলায় প্রধান শিক্ষক নেই ৫৩টিতে। রামুতে ৪৮টি। চকরিয়ায় ৭৪টি। পেকুয়ায় ৩২টি। কুতুবদিয়ায় ৩৫টি। মহেশখালীতে ৩৩টি। উখিয়ায় ৩৭টি। টেকনাফে ৩৭টি।

প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের নিয়োগ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল আজম বলেন- ২০১৩ সালের পর থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ আর হয়নি। তবে নন ক্যাডার থেকে কিছু কিছু নিয়োগ হলেও কক্সবাজারে আমরা পাইনি। ফলে শিক্ষার এ সমস্যা শুধু কক্সবাজারের নয় এটি জাতীয় ভাবে হচ্ছে। আশার কথা হচ্ছে সরকার ২০২৩ সাল থেকে নিয়োগবিধি প্রস্তুত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছে। আশাকরি শীগ্রই আমরা এ প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষকের শূন্যরপদ পূরণ করতে পারব।

তিনি বলেন, শূন্যপদের বিপরীতে তালিকা আমাদের মন্ত্রণালয়ের সফটওয়্যারে পাঠিয়েছি। আগের নিয়মানুযায়ি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া হলো ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে এবং ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে। ২০১৭ সালে নন ক্যাডার তালিকা থেকে সারা দেশে ৮৮১ জনের তালিতা প্রস্তুত করে সরকার, সেখান থেকে বিধি অনুযায়ি ৩৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষকের পদ পুরণ করা হয়।


অপরদিকে প্রতি বছর সরকার সহকারি শিক্ষকের পদ পূরণে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে আসলেও জেলায় শূন্য রয়েছে ২৫৬টি পদ। গেল বছর প্রাক প্রাথমিকের শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হলেও অনেক শিক্ষক নানা তদবিরের মাধ্যমে মফস্বল থেকে শহরের প্রতিষ্ঠানে বদলি হয়ে আসায় অজপাড়া গাঁয়ের প্রতিষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে টেকনাফের মত উপজেলায় সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় পাঠদান মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া পদ শূন্য থাকায় প্রতিবছর ফলাফলে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষক সংকটে থাকা উপজেলাগুলো।

আরও খবর



ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

১৯ দিন ১৩ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে