কক্সবাজার মানেই নীল সাগরের হাতছানি। প্রকৃতির এই মায়ার টানে প্রতিদিনই রাজধানী থেকে রেলপথে শতশত যাত্রী যাচ্ছে কক্সবাজার। সড়ক পথের দুর্ভোগ ও সময় অপচয় থেকে বাঁচতে পর্যটকদের ট্রেনে আগ্রহ বেড়েছে। আবার নবনির্মিত রেলস্টেশনটির সামনে বিশালাকৃতির মুক্তা ঝিনুকের দৃষ্টিনন্দন ভাষ্কর্য দেখে মুগ্ধ সবাই। ঢাকা থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় কক্সবাজার বান্দরবানে পর্যটন শিল্পে ব্যাপক বিকাশের সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয়রা।
পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ার সময় ভোর সোয়া ছয়টা। তাই স্টেশনে কক্সবাজার মুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল ভোর থেকেই। ঘড়ির কাটায় সোয়া ছয়টা বাজতেই শুরু হয় যাত্রা। যাত্রার শুরুতেই যাত্রীদের উচ্ছাস বাড়তে থাকে।
ঢাকা কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার। সড়ক মহাসড়কে যেতে সময় লাগে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। সেই সাথে দুর্ঘটনা আর যানজট তো আছেই। রেলপথ চালু হওয়ায় কমেছে সেই সংকট।
ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, ‘আমরা এখন যাচ্ছি। আমরা চার ঘণ্টা সমুদ্র সৈকতে কাটিয়ে আবার রাতেই ফিরে আসব। কি চমৎকার। আমার হোটেলেও থাকতে হচ্ছে না। আমরা পুরো পরিবার এক ট্রেনেই যাচ্ছি।’
অবশ্য যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের টিকিট সহজে মেলে না। সাথে টিকিট কালোবাজারি তো আছেই।
এক যাত্রী বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায় না। টিকিটগুলো বুক হয়ে যায়। সোল্ড আউট হয়ে যায়।’
বিরতিহীন চার ঘণ্টা যাত্রার পর চট্টগ্রামে এসে পৌছায় পর্যটক এক্সপ্রেস । ইঞ্জিন ঘুরিয়ে দোহাজারী-কক্সবাজার মুখী এখন ট্রেন। ১০০ কিলোমিটার নতুন রেল পথে দেখা মেলে সীতাকুণ্ড, চুনতি অভয়ারণ্যের পাহাড় ঘেরা চারপাশ। প্রকৃতির এই ক্যানভাস কৌতুহলী পর্যটকদের নাড়া দেয়।
ট্রেনটির এক যাত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম পর্যন্ত সবচেয়ে কম সময় লাগলেও সাড়ে ৫ ঘণ্টা লাগে। আমরা ৫ ঘণ্টায় ইন করে গিয়েছি। অ্যাটেনডেন্ট জানালো আর তিন ঘণ্টার মধ্যেই আমরা কক্সবাজার পৌছে যাব। তার মানে সোয়া দুইটা বা আড়াইটার মধ্যে পৌছাবো। অ্যামেজিং।’
কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচলে আশার আলো দেখছেন হোটেল মোটেল মালিকরা।সেন্টমার্টিন, চকোরিয়া, বান্দরবানের আলীকদমসহ আশেপাশের দর্শনীয় স্থানের আকর্ষনে পর্যটকদের চাপ বাড়ছে।
কক্সবাজার হোটেল–মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘যে পরিমাণ মানুষ এখন কক্সবাজার যাওয়া আসা করছে, অনেকগুলো ট্রেন এ ধরনের প্রোভাইড করা দরকার।’
বেলা তিনটায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে ট্রেনের শেষ গন্তব্য। স্টেশনে নেমেই সাগর দেখার উচ্ছাস পর্যটকদের চোখেমুখে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের রেলস্টেশন কক্সবাজার। সমুদ্র সৈকত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ঝিলংজায়, এই নয়নাভিমারম রেলস্টেশন। শুধু রেল যোগাযোগের জন্য নয়, পর্যটনের নতুন অনুষঙ্গ এই স্টেশন।
কেনইবা নয়, বঙ্গোপসাগর ছুঁয়ে দেখা এখন যে, নাগালের মধ্যে। সাগর সৈকতে মাতাল হাওয়ার সঙ্গে বিস্তীর্ন জলরাশীর উর্মিমালা স্পর্শ, পর্যটকদের ভুলিয়ে দেয় দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি।
৪ দিন ৮ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১৩ দিন ১১ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১৫ দিন ১০ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১৯ দিন ১৩ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১৯ দিন ১৩ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৩৫ দিন ১৮ মিনিট আগে
৩৭ দিন ১১ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৩৭ দিন ১৩ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে