শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে ঐতিহাসিক কাটাখালী ব্রীজ সংলগ্ন শহীদ নাজমুল চত্ত্বর (পার্ক) এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৭ জুন মঙ্গলবার বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার আনুষ্ঠানিকভাবে এ পার্কের উদ্বোধন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী নাহিদ নেওয়াজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোকতাদিরুল আহমেদ, ঝিনাইগাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবীর, শেরপুর সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিব শংকর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু, সদর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এড. মুখলেছুর রহমান আকন্দ, ঝিনাইগাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সামছুল আলম, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্টাচার্জ, শহীদ নাজমুলের বোন রুজিনাসহ অন্যান্যরা। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা, ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম, ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওইসময় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন শেরপুর এর উদ্যোগে সূর্যসন্তান মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নাজমুল আ্হসান এঁর স্মৃতি রক্ষায় কাটাখালী ব্রীজের সন্নিকটে নির্মাণ করা হলো শহীদ নাজমুল চত্ত্বর (পার্ক)। এই পার্কের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শহীদ নাজমুলের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরত্বগাঁথা বিষয়ে জানতে পারবেন। এছাড়াও শেরপুরের মানুষ বিনোদনেরও একটি চমৎকার স্থান পেল। উল্লেখ্য, একাত্তরের ৫ জুলাই রাতে মুক্তিবাহিনীর কোম্পানী কমান্ডার নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে পাকিস্তানী বাহিনীর যাতায়াতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা “কাটাখালী সেতু” বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হয়। পরদিন ৬ জুলাই রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে নাজমুল আহসান এবং তার দুই সহযোদ্ধা আলী হোসেন ও মোফাজ্জল হোসেন শহীদ হন। কাটাখালীসহ অন্যান্য যুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে শহীদ নাজমুল আহসানকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন। শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদের বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে শহীদ নাজমুল আহসানের ইতিহাস সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মকে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতা জানানোর জন্য এ চত্ত্বর (পার্ক) নির্মাণ করা হয়।
৩ দিন ৬ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৩ দিন ৬ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৪ দিন ৫ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৪ দিন ৭ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে