মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে বাংলাদেশে বানের পানির মতো আসছে সিগারেট, বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের এসব সিগারেট সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন চোরাইপথ ব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনা হচ্ছে বাংলাদেশে। আবার অন্যদিকে এসব সিগারেট বিক্রি হচ্ছে সরাসরি খোলা বাজারে।পাইকারি এবং খুচরা দুইভাবেই বিক্রি হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা অবৈধ সিগারেট।ফলে সরকার হারাচ্ছে প্রতিবছর শত কোটি টাকার রাজস্ব। একটি সূত্র বলছে, এসব সিগারেট বাংলাদেশে নিয়ে আসতেছে উখিয়ার বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট, রোহিঙ্গাদের সাথে মিলে গড়ে তুলেছে চোরাচালানের বিশাল সিন্ডিকেট, শুধু সিগারেট নয়, সিগারেটের প্যাকেটের ভিতর দিয়ে নিয়ে আসতেছে ইয়াবা আর স্বর্ণ। উখিয়ার পূর্ব সীমান্ত, চাকবৈঠা, উত্তর পুকুরিয়া, ডেইলপাড়া এসব এলাকা এখন সিগারেট পাচারের অন্যতম নিরাপদ জায়গা। তুমব্রু এবং বাইশফাঁড়ি ও তুমব্রুর আশেপাশের পয়েন্ট দিয়েই এসব অবৈধ সিগারেট বাংলাদেশে নিয়ে আসতেছে চোরাকারবারীরা।তুমব্রু হয়েই প্রবেশ করে উখিয়া সীমান্তে। অন্যদিকে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালি, ধামনখালী এবং আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে ইয়াবার পাশাপাশি ডুকছে সিগারেট আর স্বর্ণ।পালংখালীর সীমান্ত দিয়ে আনা বেশিরভাগ চোরাচালান মজুদ হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।অন্যদিকে তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে আসা চালান মজুদ হয় কুতুপালংয়ের পূর্বদিকের কয়েকটা গ্রামে, সেখান থেকে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্বদিকের বিভিন্ন এলাকা পার হয়ে চলে যায় উত্তর পুকুরিয়া, উত্তর পুকুরিয়া থেকে কোটবাজার বের হয়ে যায় চালান।এসব চালান কোটবাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে কয়েকটা সিন্ডিকেট। এদিকে সর্বশেষ উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা করে ৪ লাখ ৩০ হাজার পিস বিদেশী সিগারেটের শলাকা উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫ সদস্যরা। এসময় মোহাম্মদ ইয়াছিন(১৯) নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেফতার করা হয়। সে ক্যাম্প-৯ এর আব্দুর শুক্কুরের ছেলে। র্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণামাধ্যম) মো. আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যম কে জানান,” বালুখালী তুর্কি হাসপাতাল সংলগ্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গার বসতঘরে সিগারেট মজুদের খবর পায় র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ক্যাম্প-৯ এর মোহাম্মদ ইয়াছিনকে বিদেশি সিগারেট সহ গ্রেফতার করা হয়। তিন ধরনের বিদেশি সিগারেটের ৪৩টি কার্টুন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ইয়াছিন জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশী সিগারেট শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মায়ানমার হতে অবৈধ পথে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তার বসত ঘরে অভিনব পন্থায় মজুদ করে। পরবর্তীতে সে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য নানাবিধ অভিনব পন্থায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে থাকে। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-১৫ এর এ কর্মকর্তা।
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৯ দিন ২৩ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
১৩ দিন ১৯ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
১৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৫ দিন ২৩ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
১৭ দিন ১৬ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
২১ দিন ১৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
২২ দিন ২৩ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে