আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। ১৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শান্ত-মিরাজের অনবদ্য জুটিতে ৯২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগার বাহিনী।
১৫৭ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ২ ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানে তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর ২৭ রানে ফেরেন লিটন দাস। এরপর জুটি বাধেন একসঙ্গে বেড়ে ওঠা শান্ত ও মিরাজ। রানের চাকা সচল রেখে ৯৭ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ১২৪ রানের মাথায় মিরাজ ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর মাঠে নামেন সাকিব। জয় থেকে যখন ১১ রান দূরে অর্থাৎ ১৪৬ রানের মাথায় আজমাতুল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে ফেরেন সাকিব। তবে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন শান্ত।
এর আগে, শনিবার (৭ অক্টোবর) ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭ ওভার ২ বলে ১৫৬ রান তুলে অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান।
অবশ্য রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের দারুণ ওপেনিং জুটি ভয় দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে সময় যত গড়িয়েছে, তত ইনিংসের লাগাম নিজেদের দিকে টেনেছে বাংলাদেশ। ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি ও ২ উইকেট হারানোর আগে ৮৩ রান করা আফগানিস্তান ৪ উইকেট হারায় ১১২ রানের মধ্যে।
৪৭ রানের মাথায় এদিন নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেট রহমত শাহকে নিয়ে ভালোই আগাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। তবে ৮৩ রানের মাথায় আবারও সাকিবের আঘাত। সেই একই টপ এজ হয়ে ফেরেন রহমত। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদিও।
২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১১২ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দেন তিনি। তবে বাংলাদেশ তাদের কাঙ্খিত উইকেট পায় তার পরের ওভারে। মোস্তাফিজের বলে তানজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহমানুল্লাহ। ৬২ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি।
৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানদের এরপর আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ১২২ রানের মাথায় নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট পূরণ করেন সাকিব। রশিদ খান যখন উইকেটে সেট হয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আবার মিরাজের আঘাত। সরাসরি বোল্ড করেন রশিদকে। দলের সঙ্গে আর ৬ রান যোগ করতেই দারুণ গতিতে রান তুলতে থাকা আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭৬ বল বাকি থাকতেই ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানরা।
বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব। ৯ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ২৫ রান দিয়ে মূল্যবান ৩ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ২টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
১৯ দিন ৭ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
২০ দিন ৮ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
২৪ দিন ৫ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
২৫ দিন ৫ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
২৫ দিন ৫ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
২৯ দিন ৯ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২১ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৩৯ দিন ৯ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে