ঢাকা বিভাগসহ ৪ জেলায় ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আভাস আদমদীঘিতে ৭ শ্যালোর পাম্প চুরি, দিশেহারা কৃষক ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল মাদকের বিরুদ্ধে খোকসার ওসির জিরো টলারেন্স ঘোষণা সুন্দরবনের ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক: জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার। প্রিয়জন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন আশাশুনিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা ছাত্র নেতা শামীমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সংবাদ সম্মেলন আশাশুনিতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার আভাস প্রধান উপদেষ্টা কাল কাতার যাচ্ছেন গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর মহাসমাবেশের ডাক দিল হেফাজতে ইসলাম একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন ১৯ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা গরমে ত্বকের যত্নে উপকারী উপায় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের পর ইসিকে নির্বাচনী কাজ শুরুর আহ্বান এনসিপির রাজবাড়ীতে ওটিপি প্রতারণায় ৮ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ। রাজবাড়ীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।

প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে ৪ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রহসনের নির্বাচন বিরুদ্ধে ৪ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আকাশ বিশ্বাস নামে একজন শিক্ষার্থী।

০ ডিসেম্বর (শনিবার)  বিকেলে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে ৪ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

আকাশ বিশ্বাস ফেসবুক পোস্টে জানায়, আমি আকাশ বিশ্বাস, বাংলাদেশের একজন বিক্ষুব্ধ নাগরিক ও ছাত্র। আজ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ আমি আগামি ৭ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচীতে বসেছি। দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিকগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আবারো একই রকম একটি নির্বাচন সামনে হতে যাচ্ছে যেখানে বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনর্বার ভূলুণ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে এই ডামি নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের কোনো আস্থা নেই। এই নির্বাচন বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে আরো দীর্ঘায়িত  করবে। তাই আমি এই নির্বাচনকে বর্জন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বায়ান্নো বছর পার হলেও আমাদের রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। সংবিধানেই এক ব্যক্তিকেন্দ্রীক ও এক দলীয় শাসনকাঠামোর বীজ বপন করা আছে। তাই একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের নাগরিকগণ অব্যাহতভাবে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা গেস্টরুমে নির্যাতিত হচ্ছে, শ্রমিকদের মজুরির আন্দোলনে গুলি চালানো হচ্ছে; সর্বোপরি বাংলাদেশে একটা মানবাধিকার বিপর্যয় চলছে। এই সকল ঘটনার বিচার করতে হবে, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে এবং নাগরিকদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসর সংকোচন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও তরুণদের বিরাজনীতিকরণ করা হয়েছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাই যেখানে নাগরিকরা নির্ভয়ে কথা বলতে পারবে। তাই রাজনৈতিক পরিসর সংকোচনের চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হিস্যা ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

আমি ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনসহ চার দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানে বসেছি। আমার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমি এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো। বাংলাদেশের ছাত্র-নাগরিকদের প্রতি আমার আহ্বান আপনারা আসুন দলমত নির্বিশেষে আমরা একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পক্ষে একতাবদ্ধ হই। ৭ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমি সকলকে গণঅবস্থানের আহ্বান জানাচ্ছি।

তার উত্থাপিত প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে ৪ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী

১. একদলীয় সরকারের অধীনে ৭ই জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে ও সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

২. জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

৩. গুম, খুন, নির্যাতনের বিচার করতে হবে ও শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। সকল নাগরিকের নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিসর সংকোচন বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও খবর