কথিত সাংবাদিক রেজাউল করিম বাপ্পা কর্তৃক দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি লাঞ্ছিত
বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা শাসনামলে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার দায়েরের হোতা, চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতকারী এবং আওয়ামী দোসর হিসেবে খ্যাত, সরকারি চাল ও অনান্য সরকারি মালামাল রিপোর্টার্স ক্লাবের নামে উত্তোলন পরিবর্তীতে আত্মসাত, সাতক্ষীরার বিতর্কিত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ওরফে (গোল্ডেন মনি) এর সহযোগী, আওয়ামীলীগের মন্ত্রী কামাল মজুমদারের আশীর্বাদ পুষ্ট রেজাউল করিম বাপ্পা গতকাল ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে দেবহাটা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক অহিদুজ্জামানকে লাঞ্ছিত করে উপস্থিত সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি অহিদুজ্জামান জানান, তিনি সহ রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জালী জানাতে আসলে, দেবহাটা বিএনপির আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম আমাকে ডাকেন, আমি তার কথা শুনতে উপস্থিত হলে রেজাউল করিম বাপ্পা হঠাৎ আমাকে লাথি মারে এবং লাঞ্ছিত করে এসময় সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে দেবহাটা থানার ওসি হযরত আলী,দেবহাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন সিদ্দিকী সহ উপস্থিত সাংবাদিকরা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন,
সভাপতি অহিদুজ্জামান জানান, বিগত শেখ হাসিনার সময় রেজাউল করিম বাপ্পা বিএনপির বিরোধী কার্যকালাপ সহ নিরীহ কর্মীদের হয়রানি ও আওয়ামীলীগেরর দোসরদের সাথে জড়িত ছিলো,তাই তাকে বাদ দিয়ে আমি অন্যান সাংবাদিকদের নিয়ে গনতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হই, এতে করে রেজাউল করিম বাপ্পা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রকাশ্যে, বিএনপির আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলামের সামনে আমাকে লাঞ্ছিত করে, এসময় বিএনপি আহবায়ক নিরব ভূমিকা পালন করেন, এ ঘটনায় দেবহাটায় কর্মরত সাংবাদিদের মধ্যে ক্ষোপ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন আওয়ামীলীগের দোসর খ্যাত রেজাউল করিম বাপ্পা ইতিপূর্বে বিএনপি করার দায়ে সাংবাদিক হিরণ মন্ডলকে লাঞ্ছিত করে, এ ঘটনায় আমরা রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করি এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।