লেবু পাতার যত গুণ দ্রুত বিচার ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবে দেখতে চাই: নাহিদ ইসলাম কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি শাকিবের ‘তাণ্ডব’ থেকে বাদ ২ নায়িকা, কারণ কী? শার্শায় বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালন ইসলামপুর থানায় বেড়েছে দালাল, ২ দালালকে থানায় প্রবেশ না করতে ওসির হুঁশিয়ারি বর্ষবরণ | বিথী রহমান তাঁরা সবাই আজ মারা গেছে | মোঃ মাজিদুর রহমান শাহীন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ডোমারবাসীর বর্ষবরণ সরকারের মূল লক্ষ্য কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা যেন ফিরে না আসে’ পলাশে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উদযাপন ঢাকার আকাশে ব্যতিক্রমী ড্রোন শো খুবিতে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন ন স্বপ্ন থেমে গেল,কুবির তিন্নি আর নেই দেশে চীনের বিনিয়োগকারীদের এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে : হাফিজুর রহমান বগুড়ায় নানা আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন আলোচনা-ঐক্যের মাধ্যমে নির্বাচনী রোডম্যাপসহ সব সমস্যার সমাধান হবে: মির্জা ফখরুল কুবির বৈশাখী মেলায় ১০ টাকায় মেয়েদের মন নওগাঁর নিয়ামতপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো শুভ নববর্ষ ১৪৩২

রাজশাহীতে বিজয় মিছিলঃ বক্তৃতার জবাব বক্তৃতায়, লাঠির জবাব হবে লাঠিতে----- আসাদ

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, বিএনপির ঘোষিত দশ দফা একাত্তরের পরাজিত শক্তি আর আগুন সন্ত্রাসের সাথে জড়িতদেরকে রক্ষা করার দশ দফা।


আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরীর জয় বাংলা চত্বর (বাটার মোড়) এলাকায় “রাজনৈতিক দার্শনিক শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জয়যাত্রা” স্লোগানে বিজয় মিছিলের পূর্বে পথ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক বক্তিৃতার জবাব দিবো বক্তৃতায়। আর আপনারা যদি লাঠি দিয়ে আঘাত দেন আপনাদের সেই লাঠির জবাব আমরা লাঠিতে দিবো।


মহান বিজয়ের মাস উপলক্ষে আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বিজয় মিছিলের আহবান করেছিলেন। মিছিলে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর বাটারমোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা। বাংলাদেশের পতাকা হাতে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন তারা। তারা শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর করে তোলে পুরো এলাকা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জয় বাংলা চত্বরে ট্রাকে উঠে জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।


তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে আমরা রাজশাহীর মানুষ শপথ নিয়েছি। সমস্ত নৈরাজ্য আর সন্ত্রাসের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আপনারা রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে চান? আমরা রাজনৈতিক বক্তিৃতায় জবাব দিবো। আর আপনারা যদি লাঠি দিয়ে আঘাত দেন আপনাদের সেই লাঠির জবাব আমরা লাঠিতে দিবো।


আসাদ বলেন, বাংলাদেশে বিএনপির কিছু কিছু নেতা ঘোষনা দিয়েছিলেন ১০ তারিখ না কী সারা বাংলাদেশ দখল নিবে। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা বলেছিলাম বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে শেখ হাসিনা যে কাজ করছে বাংলার মানুষ তার পক্ষেই থাকবে। ওরা বলেছিলো ওরা পল্টনেই সমাবেশ করবে। আমরা বলেছিলাম রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে দিবো না। ওরা চ্যালেঞ্জ ঘোষনা করেছিলো। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছিলাম। তারা সেই চ্যালেঞ্জে পরাজিত হয়ে গরুর হাটে সমাবেশ করতে হয়েছে।


আজকের এই সমাবেশ থেকে পরিস্কার করে বলতে চাই, অপনারা যে দশ দফা দাবি দিয়েছেন, আপনাদের দফাতেই ভুল। বিএনপিতে কী কোন ভালো আইনজীবী নেই? তারা জানেন না? তত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনার সরকার বাতিল করে নি। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্বাতাধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে।


বিএনপি বলেছে, খালেদা জিয়াসহ আলেম ওলামাদের মুক্তি যাই। আলেম ওলামাদের নাম বলছেন না কেন? ভাসুরের নাম নিতে লজ্জা লাগে? দেলোয়ার হোসেন সাঈদির যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে নারী ধর্ষন ও মানুষ হত্যার দায়ে। আর মুমিনুল, তার তথাকথিত বউয়ের মামালায় জেলে আছে। আর কারা আছে নাম বলতে হবে। ব্যাক্তিগত রোশানলে ফেলে আওয়ামীলীগ কাউকে জেলখানায় রাখেনি।


ওরা জনগনের পক্ষে একটিও দফা উচ্চারণ করতে পারে নি। ওরা বলেছে, চাল ডালের দাম কমাতে হবে। ওরা বলেনি, ক্ষমতায় গেলে কী হবে। তারা রাজশাহীর সমাবেশে বলেছে এক দফা দাবি চাই। তাদের সিনিয়র নেতারা হয়তো বুঝেছেন সরকারকে এইভাবে পতন করা যাবে না। তাই তারা বিএনপির দশ দফা দাবি দিয়ে সারাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আজকের এই বিজয়ের মাসে পরিস্কার করে বলতে চাই তাদের এই দশ দফা একাত্তরের পরাজিত শক্তি আর যারা আগুন সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ছিলো তাদেরকে রক্ষা করার দশ দফা। এই দশ দফা মুক্তিযুদের চেতনায় এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়ার দশ দফা। এই দশ দফা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা বাংলাদেশ, বিশ্ব পরিস্থতি, করোনা পরিস্থতি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে গোটা পৃথিবী যখন ভয়াবহ সংকটে সেই সংকট উত্তরনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে চেষ্টা করছে সেই চেষ্টাকে ব্যহত করার দফা।


আজকের এই মিছিলের উপস্থিত বন্ধুরের পরিস্কার করে বলতে চাই, আপনারা পাড়ায় মহল্লায় ফিরে গিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে শেখ হাসিনার উন্নয়ন আর শেখ হাসিনার সমৃদ্ধি নিয়ে কথা বলবেন। আর বিএনপির বন্ধুদের কাছে বলতে চাই যদি বুকে সাহস থাকে ক্ষমতায় গেলে জনগননের জন্য কী করবেন বলেন। চালের দাম কী কমানোর ক্ষমতা আপনাদের আছে কিনা বলতে হবে। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে কমাতে পারবেন কি না বলতে হবে।


পথসমাবেশ শেষে ‘রাজনৈতিক দার্শনিক শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জয়যাত্রা’ শ্লোগানে বিশাল এক বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন আসাদুজ্জামান আসাদ। মিছিলে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি বদরুজ্জামান রবু, রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুক্তার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী, মুন্ডুমালা পৌরসভার বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন এই মিছিলে। জয় বাংলা চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সাহেববাজার, কুমারপাড়া, মনিচত্বর ঘুরে আবারো জয় বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

আরও খবর





deshchitro-67fd1bfe33520-140425083022.webp
কটিয়াদীতে নববর্ষ উদযাপন

১৫ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে