রমজানের শেষে এসে মোংলা ও এর আশপাশের বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০টাকা। একইসঙ্গে সবজির দামও বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
সপ্তাহব্যাপী মোংলা শহর ও গ্রামগুলোতে কয়েকটি বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিন-চারদিন আগে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। একইভাবে সোনালি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সোনালি মুরগির দাম ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, তিন-চার দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পাইকারি বাজারেও দাম চড়া। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। এসব এক ধরনের অসাধু পোল্ট্রি খাবার ব্যবসায়ীদের কারসাজি তারা খামারিদের ফুসলিয়ে মুরগি আটকে মজুদ রাখতে বাধ্য করে দাম বাড়ার আশায় এবং কৃত্তিম সংকট দেখানো হয়।যাতে দাম বৃদ্ধিতে বেচে বাজারে।পরবর্তীতে স্থানীয় মুরগীর দোকানদাররা বাইরে থেকে মুরগির চালান আনলে দাম কমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্থানীয় খামারিরা।তখন ওইসব অসাধু পোল্ট্রি খাবার বিক্রেতারা বলে তাদেন কিছু করার নেই।
অনেক খামারিরা জানায় খাবার দোকানদাররা কিছু খাবার বাচ্চা বাচ্চা বাকি দিয়ে মহাজনি কায়দায় এবং কমিশন খেয়ে দাম নিয়ন্ত্রণের কারসাজি করে।তাদের খেয়াল খুশি মত রেডি মুরগির দাম কমানো-বাড়ানো কারসাজি করে।
মোংলা বাজারে নাম প্রাকাশ না করে ব্যবসাীরা বলেন, মাত্র তিন-চারদিনের ব্যবধানে এক ধাক্কায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। পাইকারি বিক্রিতে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব বেশি পড়েছে। ঈদের আগে দাম আরও বাড়তে পারে।
ব্যবসাীরা এও বলেন, অন্যান্য সময় রমজানের শুরুতে মুরগির দাম বেড়ে যেত। এবার রমজানে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরাও বাধ্য হয়ে বেশি দামে মুরগি বিক্রি করছি।
এদিকে রমজানের শুরু থেকে মোংলার সবজির বাজারে স্বস্তি থাকলেও শেষের দিকে এসে বাড়তে শুরু করেছে কিছু সবজির দাম। বিশেষ করে ইফতারের সালাদে ব্যবহৃত টমেটো, শসা, গাজরের দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে চড়া রয়েছে লেবুর দামও। বেড়েছে বেগুন, করোলা, লালশাক ও পুঁইশাকের দাম।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো ২৫-৩০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, করোলা ৬০-৮০ টাকা, প্রতি আঁটি পুঁইশাক ৪০-৫০ টাকা ও লালশাক ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, এসব সবজির দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। আবার কিছু কিছু সবজি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ঈদের সময় ঘনিয়ে এলে দাম আরও বাড়তে পারে।
এলাকার সবজি বিক্রেতারা বলেন, আশেপাশের মোকাম থেকে আনা বা চাষাবাদের এলাকায় বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু সবজির সরবরাহ কমে যাচ্ছে। আবার নতুন কিছু সবজি বাজারে আসবে। যার কারণে কিছু কিছু সবজির দাম বেড়ে গেছে। আর নতুন যেসব সবজি বাজারে আসছে সেগুলোর দাম স্বাভাবিকভাবেই চড়া থাকবে।
২ দিন ১৩ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৩ দিন ৬ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৩ দিন ৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
৩ দিন ১০ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৪ দিন ১১ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৪ দিন ১৯ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৫ দিন ১১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৫ দিন ১৫ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে