প্রবাসী পরিবারের সম্পত্তি আত্মসাৎ চেষ্টার ঘটনায় জীবননাশের সংঙ্কায় সম্প্রতি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের একটি পরিবার।
চাচা-জেঠাদের কূটকৌশল এবং শারীরিক নির্যাতনে দিশেহারা এই পরিবারটি।
দক্ষিণ করিমপুর কেরামত আলী মাঝি বাড়ির একই পরিবারের ৩ ছেলেই জীবিকার তাগিদে বিদেশে অবস্থান করেছে। সম্প্রতি তিন ভাইয়ের একজন জহিরুল ইসলাম রিহান(২৭) দেশে এসে পৈতৃক ভিটায় ঘর নির্মাণ করতে উদ্যোগ নিলে, তাদের জেঠা এডভোকেট মীর কাশেম(৭৫), চাচা আবুল হোসেন(৫০), চাচা আবু তাহের (৪৮), চাচী রেহানা আক্তার (৪০), চাচী নার্গিস আক্তার(৩৮), চাচাতো ভাই তারিন (৩০) গং দের দ্বারা সঙ্ঘবদ্ধ হামলার সম্মুখীন হয়। ভিকটিম পরিবারটি প্রাণনাশের সংঙ্কায় অদ্য ১২ই মার্চ দাগনভূঞা থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নংঃ- ৫৩৫
গত ৯ই মার্চ বিকেল ৩ ঘটিকায় জমি নিয়ে আলোচনার কথা বলে কৌশলে ঢেকে নিয়ে গিয়ে আফ্রিকা প্রবাসী জহিরুল ইসলাম রিহান কে বেধড়ক মারধর করে এডভোকেট মীর কাশেম গং রা। উক্ত সময়ে উপস্থিত থাকা ওই প্রবাসীর বিধবা মা এবং ১৩ বছর বয়সী নাবালিকা ছোট বোনকেও মারধর করা হয়। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও গণমাধ্যমের হাতে এসে পৌছেছে।
উল্লেখ্য এই ৩ প্রবাসী ভাইয়ের মরহুম পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদকে(৬৭) গতবছর ১৪ই এপ্রিল ২০২৩ এ একইভাবে জমি আত্মসাৎ করার লক্ষে ভাই এডভোকেট মীর কাশেম এবং তার অনুসারীরা পৈশাচিক কায়দায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। পরবর্তীতে বৃদ্ধ দ্বীন মোহাম্মদ ১৮ই এপ্রিল ২০২৩ এ ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ভিক্টিক এই পরিবারের বাবা-চাচা রা ৫ ভাই। আর এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় এডভোকেট মীর কাশেম ফেনী জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এডভোকেট মীর কাসেম আইনের লোক হওয়ায় আইনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন মামলা হামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাড়ির লোকেদের হয়রানি করে আসতো। এবংকি ২০১৭ সালে মীর কাসেম তার আপন চাচাতো ভাইদের সম্পত্তি আত্মসাৎ চেষ্টায় তার দুই চাচাতো ভাই রাজিব, সজিবের উপর ও অমানবিক নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করেন বলে বাড়ির লোকেদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
বর্তমানে মামলাবাজ এই উকিল মীর কাসেম তার ছোট ৩ ভাই আবুল হোসেন, আবু তাহের এবং আবু সুফিয়ান কে সঙ্গে নিয়ে মৃত দ্বীন মোহাম্মদের প্রবাসী ৩ ছেলেকে কৌশলে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিবাদি মির কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা অস্বীকার করেন।
দাগনভূঞা ৬ নং সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন বলেন, সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে কোন পক্ষ আমাদের কাছে বাদি হয়নি।
দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাশিম বলেন, সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী পরিবারটির প্রবাসী ছেলেরা বর্তমানে স্থানীয় সুশীল সমাজ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাহায্য চাইছেন।
৩৪৩ দিন ৬ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩৪৬ দিন ১৩ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৩৪৯ দিন ১৯ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৩৫০ দিন ৬ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৩৫৩ দিন ২০ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৩৫৭ দিন ২০ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৩৬৬ দিন ৮ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৩৬৬ দিন ২০ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে