কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জের হুজুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সুচারু রুপে পরিচালিত হয়ে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী, আয়া পদ শূন্য থাকায় নিয়োগের নিমিত্তে গত ১৮ মার্চ ২০২২ তারিখে দৈনিক জনতা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। উক্ত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক আয়া পদের জন্য মোছাঃ আয়শা বেগম নিয়োগ পাওয়ার আশায় একটি দরখাস্ত দাখিল করেন এবং উক্ত দরখাস্তের সাথে অগ্রণী ব্যাংক, নাগেশ্বরী শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-০২০০০০৪৮৫৩৩৩৯৭ এর অনুকূলে ৫শত টাকার ব্যাংক ড্রাফট জমা দেন। অতঃপর উক্ত পদ সমুহে নিয়োগ পরীক্ষা না দিয়ে পুনরায় গত ৫ জুন ২০২২ইং তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ্য থাকে যে, পূর্বের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কোন প্রাথর্ী আবেদন করিয়া থাকিলে তাহাদের আবেদন করার প্রয়োজন নাই। উক্ত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক কোন নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে গত ১২ মার্চ ২০২৩ইং তারিখে দৈনিক কুড়িগ্রাম খবর পত্রিকায় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আবারও উল্লেখ করা হয় পূর্বের আবেদনকারীদের পুনঃরায় আবেদন করার প্রয়োজন নাই। এই বিধি মোতাবেক মোছাঃ আয়শা বেগম আয়া পদের জন্য পুনঃরায় আবেদন করেন নাই। কিন্তু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক কোন প্রকার নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে ৪র্থ বারের মতো ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে পুনরায় দৈনিক কুড়িগ্রাম খবরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, পূর্বের আবেদনকারীকে পুনঃরায় আবেদন করিতে হইবে কিন্তু ৫শত টাকার ব্যাংক ড্রাফ্ট এর প্রয়োজন নাই। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক আয়শা বেগম গত ১ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখে পুনরায় আবেদন করতে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, উক্ত আবেদনকারীর বয়স ৩৫ এর উর্দ্ধে হওয়ায় তার আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আয়া পদের জন্য আবেদনকারী মোছাঃ আয়শা বেগম গত ১৮মে ২০২২ইং, পরবর্তী ৫ জুন ২০২২ইং তারিখ, ১২ মার্চ ২০২৩ইং তারিখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় পর্যন্ত তার বয়স ছিল ৩৫ বৎসরের মধ্যে। কিন্তু ৪র্থ বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সময় প্রার্থীগণকে পুনরায় নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়। এতে উল্লেখ থাকে পূর্বের ব্যাংক ড্রাফ্ট বহাল রাখার কথা। তখন মোছাঃ আয়শা বেগম এর বয়স ৩৫ বৎসরের উর্দ্ধে হওয়ায় উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক আবেদন করার যোগ্যতা হারান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব পছন্দের প্রার্থীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিবেন বলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে চক্রান্তমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে মোছাঃ আয়শা বেগম ৩ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখে আবেদনপত্র নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রিসিভ কপিতে সীলমোহর দেয়ার পরেও আবার তা কেটে দেন এবং আবেদনপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। এতে করে মোছাঃ আয়শা বেগম এর অপূরণীয় ক্ষতি ও মানহানি হয়। এ বিষয়ে বিজ্ঞ নাগেশ্বরী সহকারী জজ আদালত, কুড়িগ্রামে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মোকদ্দমা নং- ৪৮৫/২০২৩ইং অন্য।
স্বচেতন এলাকাবাসী ও অভিভাবক মোঃ বাবু মিয়া, রুহুল আমিন, আব্দুস সালাম জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি’র যোগসাজসে একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য পায়তারা করতেছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নুর ইসলাম এর সাথে কথা হয়ে তিনি জানান, আয়া পদের প্রার্থী মোছাঃ আয়শা বেগম এর বয়স বেশী হওয়ায় আমরা তার আবেদনপত্র গ্রহণ করি নাই।
৩ দিন ১৬ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৪ দিন ১৭ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৪ দিন ১৮ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৫ দিন ১১ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৫ দিন ১৩ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৫ দিন ১৫ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
৮ দিন ১২ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৯ দিন ৭ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে