শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও ধর্ষক জাকির হোসেনকে ১৯ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব। ২২ নভেম্বর বুধবার ভোরে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪। ধর্ষক জাকির হোসেন ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া গ্রামের মো. আবেদ আলীর ছেলে। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া গ্রামের ৬ বছরের শিশুকে জাকির হোসেন ভেটের ফুল দেখানোর কথা বলে বিগত ২০০৪ সালের ২৬ নভেম্বর বাড়ীর পশ্চিম পাশে মহারশি নদীর ধারের একটি ঝোপ ঝারের ভিতর নিয়ে যায়। এসময় ওই ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি আত্মচিৎকার করতে থাকলে তার মা ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যায়। এসময় ধর্ষক মো. জাকির হোসেন ভিকটিমকে রেখে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়া যায়। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে শিশুটির বাবা ঝিনাইগাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার মামলা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। শেরপুরের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ বিগত ২০০৯ সালের ৮ আগস্ট আসামী মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। জাকির হোসেন ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। পরে র্যাব-১৪ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। র্যাব-১৪ জামালপুরের কোম্পানী কমান্ডার আশিক উজ্জামান ২২ নভেম্বর দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেনকে ঝিনাইগাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।