বলছিলাম গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কথা। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর। তার উপরে ঘনঘন হচ্ছে লোডশেডিং, এ যেন এক জাহান্নামে পরিনতি হয়ে যাচ্ছে দেশ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৈনিক ১০/২০ বার হচ্ছে লোডশেডিং। তীব্র গরম আর লোডশেডিং এর কারণে জনজীবনে শুরু হয়েছে এক চরম ভোগান্তি। এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?
লোডশেডিং এর কারণে শিক্ষার্থীদের যেমন লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে, তেমনি তীব্র গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ার কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
বরমী ইউনিয়নে থাকা একাধিক কম্পিউটার কোচিং সেন্টার, যা মূলত বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল, এ কোচিং সেন্টার গুলোতে অতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারণে ট্রেনিং প্রদানে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও লোডশেডিং আর গরমের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ছে। এই সময়ে বৃষ্টি না থাকার কারণে কৃষকের ফসলের জমিতে স্বেচ প্রদান করতে হয়। লোডশেডিং এর কারণে ফসলি জমিতে স্বেচ প্রদানেও বিঘ্ন ঘটছে। সময় মত ফসলি জমিতে সেচ প্রদান করতে না পারলে কৃষকের স্বপ্নের এই ফসল উৎপাদন গুড়েবালিতে পরিণত হবে।
বরমী ইউনিয়নবাসীর অভিমত, চলমান এই বৈদ্যুতিক লোডশেডিং মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাই চলমান এই লোডশেডিং কমানোর জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সদয় ভূমিকা আশা করেন স্থানীয় জনগণ।