টাঙ্গাইল মহেরা জমিদার বাড়ি শিক্ষা সফরে, জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠ নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ কালিগঞ্জ কৃষ্ণনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গাঁজা বিক্রেতা ও ক্রেতার জেল-জরিমানা ফতুল্লার কাশীপুরে পিস্তলের গুলিতে পাভেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী রায়হান বাবু গ্রেফতার ভর্তিচ্ছুদের পাশে কুবি ছাত্রদল গৃহকর্মী-যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ জাবিপ্রবি ফটকে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, সর্বত্র বিএনপির ব্যানার রায়পুর রিপোর্টার্স ইউনিটির এপ্রিল মাসের সভা সম্পন্ন পাঁচবিবিতে ভূয়া ডিবি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদা দাবি গ্রেফতার-২ কবি ও সাংবাদিক বিল্লাল হাওলাদারকে সুনামগঞ্জে সংবর্ধনা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাঁশের ঝোপে বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার রায়গঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ইয়াবা কারবারি ও গাঁজাসহ গ্রেফতার-৮ আশাশুনি সরকারি কলেজে ৬ শিক্ষককে এডহক নিয়োগ এডভোকেট শহিদুল ইসলাম ৩ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মনোনীত লালপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত সর্বস্তরের শিক্ষা জাতীয়করণ চাই শিরোনামে যশোরে জেলা শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল সিরাজগঞ্জে স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বরিশালে মুফতি ফয়জুল করিমকে বৈধ মেয়র হিসাবে ঘোষনা করার দাবীতে গণমিছিল জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশী করতে গিয়ে দুই ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা এবার দুদকের জালে

তারা তিনজনই ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার কর্মকর্তা। ব্যাংকের নয়জন গ্রাহকের চেক জালিয়াতি করে ৬৫ লাখ টাকা সরিয়ে আত্মসাতের মামলায় সোজা পৌঁছে গেছেন জেলে। এবার ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে দুদকও। বুধবার (২২ নভেম্বর) দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


ওই তিন আসামিরা হলেন, ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার বরখাস্তকৃত অফিসার ঈমাম হোসেন (৩৭), জুনিয়র অফিসার আজিজ আহমেদ জাবেদ (৩০) এবং মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম (৩১)।


তাদের মধ্যে ঈমাম হোসেন টেকনাফের হৃলার দমদমিয়া এলাকার টান্ডা মিয়ার ছেলে, আজিজ আহমেদ জাবেদ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইনের ইউনিয়ের উজিরপুর গ্রামের মীর আহমেদের ছেলে এবং মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম একই উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানাই এলাকার শেখ আমিনুল হকের ছেলে।


যেভাবে জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন ৯ গ্রাহক


সিভয়েসের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওই ৩ কর্মকর্তা মিলে চলতি বছররের আহমেদ হোসেন নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে ১ লাখ, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে ৫০ হাজার, ৩০ জানুয়ারি ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।


এছাড়াও চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামাল হোসেন নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার, ১৭ জুলাই মোহাম্মদ হোসেন নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার, ২৫ সেপ্টেম্বর আনোয়ারা বেগম নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৮ লাখ, একইদিন ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে নুর মোহাম্মদ নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ লাখ, মং ক্যুয়া চান নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ২০ লাখ, জয়নাল আবেদীন নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে একই পদ্ধতিতে ৭ লাখ ৫০ হাজার, ২৭ সেপ্টেম্বর লাল মিয়া নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ উত্তোলনের ৩ লাখ ২২ হাজার, ২ অক্টোবর আবদুল গফুর নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ উত্তোলনের ৪ লাখ ৩৫ হাজার এবং ৯ অক্টোবর একই পদ্ধতিতে একই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকাসহ মোট ৬২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা।


জালিয়াতির পর যেভাবে ধরা




গত ৬ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখায় একজন গ্রাহক তার হিসাবের স্থিতিতে গরমিল পাওয়ায় শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। ওই মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তার হিসাবের স্থিতির গরমিলের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পান তিনি। একইভাবে ১২ নভেম্বর অন্য এক গ্রাহক তার হিসাবের স্থিতির ব্যাপারেও একই অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগেরও শাখা ব্যবস্থাপক যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পান।


অভিযোগ যাচাই-বাছাই করার সময় শাখা ব্যবস্থাপক ওই শাখার অফিসার ঈমাম হোসেন, জুনিয়র অফিসার আজিজ আহমেদ জাবেদ এবং মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পান। তারা ব্যাংক প্রদত্ত নিজ নিজ আইডি ব্যবহার করে পরস্পর চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ইস্যু করে এবং চেকগুলো ব্যবহার করে নগদ ও স্থানান্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকের হিসাব থেকে অবৈধ পন্থায় টাকা উত্তোলন করেন।



তাদের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রাহকের হিসাবে সেই টাকাগুলো স্থানান্তর করেন। বিষয়টি ব্যবস্থাপক নিশ্চিত হওয়ার পর দ্রুত আঞ্চলিক প্রধানকে অবহিত করে নিরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।


সর্বমোট বিভিন্ন গ্রাহকের হিসাব থেকে সর্বমোট ৫৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা অননুমোদিত উপায়ে উত্তোলন করা হয়। একই ভিত্তিতে ব্যাংকের কর্মকর্তা অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে ব্যবস্থাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিখিত স্বীকৃতি দেন। একইসাথে অভিযোগকারী ২ গ্রাহকের হিসাবের গরমিলে ১৩ লাখ টাকা ব্যবস্থা করে তাদের অভিযোগ তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি করেন ব্যবস্থাপক।


ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার বরখাস্তকৃত অফিসার ঈমাম হোসেনের লিখিত স্বীকৃতি অনুযায়ী, তিনি নিজেই ৩০ লাখ টাকা, আজিজ আহমেদ জাবেদ ৩০ লাখ টাকা এবং মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম ৫ লাখ টাকা পারস্পরিক যোগসাজশের মাধ্যমে ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিয়েছেন।


মামলা দায়ের


অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে শাখাটির ৯ জন গ্রাহকের হিসাব থেকে ৬২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় তারা তিনজন কারাগারে রয়েছেন। এরপর ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


মামলার বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করেছেন দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বা ভিন্ন কোন তথ্য পাওয়া গেলে তাও আমলে নেয়া হবে।

Tag
আরও খবর

পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ২ জন

১৩ দিন ১৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে


টেকনাফে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

১৬ দিন ১৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে





টেকনাফে বসত ঘরে মিলল ২০ হাজার ইয়াবা

৮৬ দিন ২০ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে